চট্টগ্রাম শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪

সর্বশেষ:

নয় প্রকল্পের উদ্বোধন ভিত্তিপ্রস্তরও ৯ প্রকল্পের

নিজস্ব প্রতিবেদক 

২৮ অক্টোবর, ২০২৩ | ১১:২৫ পূর্বাহ্ণ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ (শনিবার) সকালে দুয়ার খুলছেন কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত বহুল প্রতীক্ষিত স্বপ্নের ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল’র। টানেল ছাড়াও আরও ১৮টি প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন তিনি।

 

জেলা প্রশাসন থেকে প্রাপ্ত তালিকা অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রামে সফরকালে টানেল ছাড়া আরও আটটি প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন। একই সঙ্গে নয়টি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন তিনি।

উদ্বোধন করবেন ৮টি প্রকল্প

চট্টগ্রাম মুসলিম ইনস্টিটিউট সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্স ও জেলা পরিষদ টাওয়ারসহ আটটি প্রকল্পের উদ্বোধন করা হবে। উদ্বোধনী প্রকল্পগুলোর মধ্যে চট্টগ্রাম মুসলিম ইনস্টিটিউট সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্স প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে ২৮১ কোটি ৩৯ লাখ ৪৮ হাজার টাকা। রয়েছে চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ টাওয়ার। নিজস্ব তহবিল থেকে ব্যয় ধরা হয় ৭৭ কোটি ১৮ লাখ ৪১ হাজার টাকা। পরবর্তীতে ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় এক শ কোটি টাকায়। কাজ শেষ হয়েছে ৮৭ শতাংশ। রাঙ্গুনীয়া উপজেলায় জেলা পরিষদ ডাকবাংলো। স্থানীয় সরকার বিভাগের সহায়তায় জেলা পরিষদের উন্নয়ন সহায়তা খাত থেকে এক কোটি ৬৩ লাখ ৮৪ হাজার টাকা ব্যয় ধরা হয়েছিল। ব্যয় হয় এক কোটি ২১ লাখ ৭৬ হাজার টাকা। আনোয়ারা উপজেলায় জেলা পরিষদ ডাকবাংলো নির্মাণে ব্যয় ধরা হয় দুই কোটি টাকা। ব্যয় হয়েছে এক কোটি ৪৮ লাখ ২১ হাজার টাকা। এছাড়া পটিয়া উপজেলায় শেখ কামাল অডিটরিয়াম কাম মাল্টিপারপাস হল। প্রকল্পে আর্থিক সহায়তা করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে জেলা পরিষদ। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ২০ কোটি ১২ লাখ ৬১ হাজার টাকা। কাজের অগ্রগতি ৮৫ শতাংশ। এ পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে ১৬ কোটি ৯ লাখ ৪৪ হাজার টাকা। রাউজান উপজেলার শেখ কামাল কমপ্লেক্স প্রকল্প। স্থানীয় সরকার বিভাগের আর্থিক সহায়তা প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে জেলা পরিষদ। প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয় ৭ কোটি ৩০ লাখ ৮৯ হাজার টাকা। ব্যয় হয়েছে ৭ কোটি ৩১ লাখ ২৭ হাজার টাকা। চট্টগ্রাম এয়ারপোর্ট মোড়ে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্মাণ করেছে ‘বঙ্গবন্ধু ম্যুরাল। ব্যয় ধরা হয় ৮৪ লাখ টাকা। পটিয়া উপজেলার উজিরপুর সড়কের শিকলবাহা খালের উপর ১০৫০ মিটার চেইনেজ গার্ডার সেতু নির্মাণ। প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয় ৪৯ কোটি ৪৮ লাখ ৬০ হাজার টাকা। ব্যয় হয়েছে ৪৫ কোটি ২৫ লাখ ৬০ হাজার টাকা। প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)।

ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন ৯টি প্রকল্পের

নয়টি প্রকল্পের তালিকায় রয়েছে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধ ও জাদুঘর, বিমানবন্দর থেকে বঙ্গবন্ধু টানেল পর্যন্ত শেখ হাসিনা সড়ক। দক্ষিণ হালিশহরের সিমেন্স হোস্টেল কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ ও জেলা প্রশাসনের ছয়টি প্রকল্প। এরমধ্যে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধ ও জাদুঘর প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। প্রকল্পের ব্যয় নির্ধারণ করা হয়নি। বিমানবন্দর থেকে বঙ্গবন্ধু টানেল পর্যন্ত শেখ হাসিনা সড়ক প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন। যার ব্যয় ধরা হয় ২৫ কোটি টাকা। কাজ শেষ হয়েছে ৫০ শতাংশ। নাবিকদের জন্য করা সিমেন্স হোস্টেল কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৯ কোটি ১৪ লাখ ১৩ হাজার টাকা। তা বাস্তবায়ন করবে চট্টগ্রাম নাবিক ও প্রবাসী শ্রমিক কল্যাণ পরিদপ্তর, নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় ও গণপূর্ত অধিদপ্তর।  এছাড়াও চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের ছয়টি প্রকল্প হল, ডিসি পার্ক, হাজার বছরের নৌকা জাদুঘর, ১৯১টি ইউনিয়নে খেলার মাঠ ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, স্মার্ট স্কুলবাস সার্ভিস, পর্যটক বাস, রিভার ত্রুজ ও ফুল ডে ট্যুর সম্বলিত পর্যটন সেবা, বার্ডস পার্ক ও চিড়িয়াখানার আধুনিকীকরণ।

পূর্বকোণ/পিআর 

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট