চট্টগ্রাম শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪

সর্বশেষ:

বৃহত্তর চট্টগ্রাম উন্নয়ন সংগ্রাম কমিটির সভায় জসিম উদ্দীন চৌধুরী

কালুরঘাট সেতু দৃশ্যমান না হওয়ায় চট্টগ্রামবাসী হতাশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

১৭ অক্টোবর, ২০২৩ | ১২:০২ অপরাহ্ণ

বৃহত্তর চট্টগ্রাম উন্নয়ন সংগ্রাম কমিটির স্থায়ী পরিষদের সভাপতি জসিম উদ্দীন চৌধুরী বলেছেন, চট্টগ্রামবাসীর দীর্ঘদিনের প্রাণের দাবি কালুরঘাট রেল সংযুক্ত সড়ক সেতু বাস্তবায়নে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা, পরবর্তীতে একবার একনেকের সভায় পাস হয়ে নকশা প্রণয়নের পরেও এখন পর্যন্ত কালুরঘাট সড়ক সংযুক্ত রেল সেতু দৃশ্যমান না হওয়ায় চট্টগ্রামবাসী হতাশ হয়েছে। এতোকিছুর পর সেতু নির্মাণে আন্তরিকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

 

গতকাল সোমবার সকালে পূর্বকোণ সেন্টারের ইউসুফ চৌধুরী কনফারেন্স হলে বৃহত্তর চট্টগ্রাম উন্নয়ন সংগ্রাম কমিটির জরুরি সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

 

ডা. শেখ শফিউল আজমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন স্থায়ী পরিষদের সহ-সভাপতি ব্যবসায়ী নেতা এস এম নুরুল হক, মহাসচিব আলহাজ এইচ এম মুজিবুল হক শাকুর, এডভোকেট মাহ্ধসঢ়;ফুজুর রহমান খান, লায়ন আলহাজ নুরুল আলম, ইঞ্জিনিয়ার মুহাম্মদ ইব্রাহিম, এডভোকেট ফয়েজুর রহমান চৌধুরী বেলাল, হাসান সিকদার, এম গোফরান চৌধুরী প্রমুখ।

 

সভায় জসিম উদ্দীন চৌধুরী আরো বলেন, বর্তমান সরকারের সময়ে দেশ উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে চট্টগ্রামসহ দেশব্যাপী ব্যাপক উন্নয়নের কর্মযজ্ঞ আজ দৃশ্যমান। নেই শুধু কালুরঘাট সেতু। চট্টল বিদ্বেষী অপশক্তির ষড়যন্ত্রের কারণে কালুরঘাট রেল সংযুক্ত সড়ক সেতু বাস্তবায়ন হচ্ছে না বলে চট্টগ্রামবাসী মনে করেন। এতে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণœ হচ্ছে।

 

তিনি আরো বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃঢ় সংকল্পের কারণে বিশ্ব ব্যাংকের দুর্নীতির তকমা দিয়ে অর্থায়ন বন্ধ করে দেয়া পদ্মা সেতু প্রকল্প যেখানে দেশের নিজস্ব টাকায় হয়ে গেছে, যেটির কারণে দেশ ও জাতি গর্ববোধ করছে, সেখানে দেশের রাজস্বের সিংহ ভাগ যোগানদাতা বন্দর নগরী চট্টগ্রামের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কালুরঘাট রেল সংযুক্ত সড়ক সেতু নির্মাণ প্রকল্প উপেক্ষিত হবে তা কল্পনা করা যায় না। কারণ কালুরঘাট সড়ক সংযুক্ত রেল সেতু নির্মাণ ছাড়া চট্টগ্রাম কক্সবাজার ঘুমধুম রেললাইনের সুফল পাওয়া যাবে না। কালুরঘাট রেল সংযুক্ত সড়ক সেতু নির্মাণের কথা বহুবার জাতীয় সংসদেও আলোচনায় এসেছে। কালুরঘাট সেতুর বাস্তবায়নের অঙ্গীকারে বর্তমান সরকারের দুইজন সাংসদ আন্দোলন সংগ্রাম করেও শেষ পর্যন্ত সেতু দেখে যেতে পারেননি। যা অত্যন্ত দুঃখজনক।

 

সভায় তিনি অনতি বিলম্বে জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পূর্বে কালুরঘাট সড়ক সংযুক্ত রেল সেতু নির্মাণ কাজ শুরু করার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

 

সভায় কার্যকরী পরিষদের চেয়ারম্যান ডা. শেখ শফিউল আজম বলেন, বর্তমানে ডেঙ্গুর ভয়াবহতা মহামারীকে ছাড়িয়ে গেছে, দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছে। আরো দু’মাস ডেঙ্গুর প্রকোপ থাকবে। ফলে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে বলা মুশকিল। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, এই বিষয়ে কর্তৃপক্ষের কার্যকর কোন উদ্যোগ পরিলক্ষিত হচ্ছে না।

 

স্থায়ী পরিষদের সহ-সভাপতি এস এম নুরুল হক বলেন, অনিয়ন্ত্রিত অসাধু ব্যবসায়িক সিন্ডিকেটের কবলে পড়ে নিত্য পণ্যের মূল্য সীমা অতিক্রম করেছে। মানুষের আয়ের সাথে ব্যয়ের ভারসাম্য রক্ষা কঠিন হয়ে পড়েছে। এতে সাধারণ মানুষের জীবন সংকটাপন্ন। নিত্য দ্রব্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হলে তার প্রভাব জাতীয় নির্বাচনে পড়তে পারে।

 

তাই টিসিবির অধীনে ঘরে ঘরে খাদ্য সামগ্রী সরবরাহ নিশ্চিতকরণ এবং রেশনিং প্রথা চালু করে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে অসাধু ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট ভেঙে দিয়ে দ্রব্য মূল্যের লাগাম টেনে ধরার জন্য সরকারের প্রতি তিনি অনুরোধ জানান।

 

সংগঠনের মহাসচিব আলহাজ এইচ এম মুজিবুল হক শাকুর বলেন, নগরীর উন্নয়নে গৃহীত মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে গিয়ে নগরবাসীকে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। সংস্কারের অভাবে রাস্তাঘাটে চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে। ফুটপাত ও রাস্তা হকারদের অবৈধ দখলে। যেনতেনভাবে যাত্রী পরিবহন করতে গিয়ে মোড়ে মোড়ে গণপরিবহন, রিকশা, ট্যাক্সির অবস্থানের কারণে সীমাহীন যানজটে নাকাল নগরবাসী। অরক্ষিত ড্রেন, নালা, নর্দমায় পড়ে প্রাণহানির শিকার অনেকেই। তারপরও কর্তৃপক্ষের নজরদারি নেই, যা অত্যন্ত দুঃখজনক ও গ্লানিকর।

 

তাই অনতি বিলম্বে নগর উন্নয়নে গৃহীত প্রকল্পগুলোর কাজ শেষ করে নগরবাসীর ভোগান্তি লাঘব করার আহ্বান জানান।

পূর্বকোণ/পিআর 

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট