হাতি পারাপারে চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার চুনতি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যে নির্মিত হয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম বিস্ময়কর এলিফ্যান্ট ওভারপাস। ওই ওভারপাসে পাহাড়ের নিচে সুড়ঙ্গ দিয়ে চলবে ট্রেন আর ওপরে নির্বিঘ্নে চলাচল করবে হাতিসহ অন্যান্য বন্যপ্রাণী।
আগামী ১৫ অক্টোবর (রবিবার) পরীক্ষামূলক চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার এই ওভারপাসের নিচ দিয়ে ট্রেন চলাচল করবে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
সংশ্লিষ্টরা জানান, দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার রেললাইনের চুনতি, ফাঁসিয়াখালি ও মেধাকচ্ছপিয়ায় তিনটি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য রয়েছে। এর মধ্যে চুনতিতে হয়ে গেছে প্রথম এলিফ্যান্ট ওভারপাস। সাড়ে ৯ মিটার উচ্চতা ও ১৩৯ মিটার প্রস্তের এই বিশেষ রাস্তার নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ।
এই অভয়ারণ্যগুলো মূলত হাতি চলাচলের পথ হিসেবে পরিচিত। তাই ওভারপাসের ওপর প্রাকৃতিকভাবে কলা, কাঠবাদাম কাঁঠালসহ ২০ প্রজাতির গাছ রোপণ করা হয়েছে। মূলত পরিবেশবাদী সংগঠনের দাবির প্রেক্ষিতে বনের ভেতর এটি নির্মাণ করা হয়। হাতি পারাপারের জন্য করা হয় দুটি আন্ডারপাস।
তমা কনস্ট্রাকশনের সাইট ইঞ্জিনিয়ার মো. সাকিল আহমেদ বলেন, আমদের কাজ প্রায় শেষ। ১৫ অক্টোবর এশিয়ার প্রথম এলিফ্যান্ট ওভারপাসটি পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হবে। এছাড়া দুটি স্থানেই হচ্ছে হাতি চলাচলের আন্ডারপাস।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেল প্রজেক্টের সিএসসি কনসালটেন্ট ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ার মিলন গোস্বামী বলেন, আমরা প্রথমে সিসিটিভি দিয়ে দেখেছি কখন কোন পথে হাতি চলাচল করে। সেই পথেই আমরা ওভারপাস আন্ডারপাস করছি।
ইতোমধ্যে নির্মিত এলিফ্যাট ওভারপাস দিয়ে পারাপার হচ্ছে হাতির দল। আশ্চর্য ও বিস্ময়কর এই নির্মাণ শৈলি দেখতে প্রতিদিনই ভিড় করছেন স্থানীয়রা।
পরিবেশবাদী সংগঠন আন্তর্জাতিক প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ সংঘের (আইইউসিএন) সমীক্ষায় ১০০ কিলোমিটার রেলপথের মধ্যে সাতটি স্থায়ী ও আটটি অস্থায়ী হাতি চলাচলে পথ বা করিডোর চিহ্নিত করা হয়। এই পথ দিয়ে আগামী ১৫ অক্টোবর চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত পরীক্ষামূলক ট্রেন যাবে।
পূর্বকোণ/জেইউ/পারভেজ