চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৪

সর্বশেষ:

চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজ কম, খালি যাচ্ছে জেটি

অপেক্ষমাণ জাহাজ না থাকায় চলতি মাসে প্রায় প্রতিদিনই অন্তত দুটি জেটি খালি থেকেছে

নিজস্ব প্রতিবেদক

১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ | ১২:০২ অপরাহ্ণ

চট্টগ্রাম বন্দরে বর্হিনোঙরে অপেক্ষমাণ কোন জাহাজ নেই। তাই বিদেশ থেকে জাহাজ এসে সরাসরি বন্দরের জেটিতে ভিড়ানোর সুযোগ পাচ্ছে। চলতি সেপ্টেম্বরের গত ১৮ দিনে অপেক্ষমাণ জাহাজ না থাকায় প্রায় প্রতিদিনই অন্তত দুটি জেটি খালি থেকেছে।

 

অপেক্ষমাণ জাহাজ না থাকায় জাহাজকে অলস বসে ক্ষতিপুরণ গুণতে হচ্ছে না ঠিকই। কিন্তু জেটি খালি থেকে যাওয়ায় বন্দরকেন্দ্রিক ব্যবসা পরিস্থিতিকে নেতিবাচক বলে দেখছেন ব্যবসায়ী ও বন্দর সংশ্লিষ্টরা।

 

এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ শিপিং এজেন্টস এসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ মো. আরিফ পূর্বকোণকে বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরে একটা সময় ছিল যখন জাহাজ এসে ৫-৬ দিন অলস বসে থাকতে হতো। সেই দিন এখন আর নেই। একটি জাহাজ একদিন অলস বসে থাকলে ১২-১৫ হাজার ডলার ক্ষতিপূরণ গুণতে হতো। তবে এখন সেই চিত্র পাল্টে গেছে। বন্দরে জাহাজ এসে সরাসরি ভিড়তে পারছে। এমনকি বন্দরের জেটি খালিও থাকছে। সেটি কিন্তু আবার দেশের বাণিজ্যের জন্য ভালো খবর না।

 

তিনি আরও বলেন, বন্দরকেন্দ্রিক ব্যস্ততা কমে যাওয়া মানে হলো দেশের আমদানি-রপ্তানি কমে যাওয়া। আর আমদানি-রপ্তানি কমে যাওয়া মানে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য কমে যাওয়া। এর কারণ হতে পরে ডলার সংকটের প্রভাব। মাঝে কায়েকমাস আমদানি-রপ্তানি বাড়লেও সম্প্রতি কমেছে। যার ফলে বন্দরে জাহাজ আসাও কমেছে। তাই জাহাজ আসা-যাওয়া বাড়াতে ব্যসায়িক সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে হবে এবং সমস্যাগুলোর সমাধান করতে হবে।

 

একই প্রসঙ্গে তৈরি পোশাক শিল্পের সবচেয়ে বড় সংগঠন বিজিএমইএ’র প্রথম সহ-সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম পূর্বকোণকে বলেন, সারা বিশ্ববাণিজ্যেই এক অস্থির অবস্থা বিরাজ করছে। আমরা করোনায় একবার পিছিয়েছিলাম। সেই কাটা দাগ শুকানোর আগেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ও তার প্রভাবে ডলার এবং বাণিজ্য সংকট সৃষ্টি হয়। এসবের মধ্যেও প্রতিযোগিতার বাণিজ্যে টিকে থাকার আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে ব্যবসায়ীরা।

 

তিনি বলেন, ব্যবসা কমে গিয়ে অনেক কারখানা অলস দিন কাটাচ্ছে। অর্ডার না থাকায় কাঁচামাল আমদানির প্রয়োজন পড়ছে না। আর ডলারের উচ্চমূল্যে কাঁচামাল কিনবে কিনা সেই চিন্তাও করতে হয় কারখানাগুলোকে। আবার একেবারে ঠেকায় পড়ে আমদানির চিন্তা করলেও দেখা যায় ব্যাংকগুলো ডলার সরবরাহ করতে পারছে না। এসবের কারণে ব্যবসা কমেছে। আর ব্যবসা কমে যাওয়ায় চট্টগ্রাম বন্দরের ব্যস্ততাও কমেছে।

 

পূর্বকোণ/আরডি

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট