নগরীর পতেঙ্গায় নতুন দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পাঠদানের জন্য প্রস্তুত হলে সেখানে ১২শ শিক্ষার্থী অধ্যয়নের সুযোগ পাবে। যেহেতু শিক্ষানীতিতে বিদ্যালয়ের ব্যাখ্যার মধ্যে দ্বাদশ শ্রেণিও রয়েছে। তাই এই দুই সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিদ্যালয়ের পাশাপাশি একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণি অর্থাৎ কলেজ পর্যন্ত পড়াশুনার সুযোগ থাকবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। গতকাল রবিবার দৈনিক পূর্বকোণের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।
শিক্ষা উপমন্ত্রী আরও বলেন, চট্টগ্রামের শিক্ষার প্রসারে প্রধানমন্ত্রীর প্রথম থেকেই সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা ছিল। তিনি জানতেন চট্টগ্রামে দীর্ঘদিন সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেনি। পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশেই দু’টি বেসরকারি বিদ্যালয়কে সরকারিকরণ করা হয়। চট্টগ্রাম শহরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অভাব ছিল। আমার বাবা মেয়র থাকাকালীন অবস্থায়ও এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করতেন।
শিক্ষার সেবা যাতে সাধারণ মানুষে দোরগোড়ায় নিয়ে যেতে সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে উল্লেখ করে শিক্ষা উপমন্ত্রী বলেন, শিক্ষার সেবা যাতে সাধারণ মানুষে দোরগোড়ায় নিয়ে যেতে নানান প্রতিষ্ঠানকে অন্তর্ভুক্ত করা এবং সরকার যাতে সরাসরি প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করে সেজন্য প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দেন। এজন্য একটি বিশেষ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়, এই বিশেষ প্রকল্পের অধীনে চট্টগ্রামে এই দু’টি সরকারি প্রতিষ্ঠান নির্মাণের কাজ চলছে।
আগামীতে চট্টগ্রামে আর কোন নতুন সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, নতুন সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থাপন যেহেতু অনেক দীর্ঘ এবং জটিল প্রক্রিয়া। তাই প্রয়োজনে আগামীতে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে জাতীয়করণ করা হবে।
পূর্বকোণ/আরডি