চট্টগ্রাম নগরীর টেরিবাজার এলাকা থেকে ‘পরিত্যক্ত অবস্থায়’ উদ্ধার করা কাপড়ের সূত্র ধরে চুরি যাওয়া ১০১ বান্ডেল আমদানি করা কাপড় উদ্ধারের পাশাপাশি ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই)।
এর মধ্যে শুক্রবার নগরী ও সীতাকুণ্ডের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা পাঁচজন হল- মো. ইউসুফ ওরফে ইউসুফ ভাণ্ডারি ওরফে আবুল কালাম কালু (৫২), মো. আলমগীর (৩৮), সামছুল আলম (৫৩), মাসুদ আলম ওরফে পিচ্ছি মাসুদ (৪৭) ও আরিফুর রহমান চৌধুরী (৪০)।
তার আগে এ ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে আবুল বাশার প্রধান (৫০), মো. ফারুক (৪০), তার ছেলে মো. হৃদয় (২০), মোহাম্মদ মুজিবুল হক (৪৫) ও মো. পারভেজ (২৬) নামে পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়; যারা এখন কারাগারে আছেন।
পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোর বিশেষ পুলিশ সুপার নাঈমা সুলতানা জানান, পটিয়া উপজেলার পাচুরিয়া হুলাইন এলাকায় অবস্থিত রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান বাকারসন্স গ্রুপের ওয়্যারহাউজ থেকে কাপড় চুরির অভিযোগের ছায়া তদন্ত করতে গিয়ে নগরীর টেরিবাজার এলাকায় পরিত্যক্ত অবস্থায় ১০১ রোল কাপড় উদ্ধার করে পিবিআই।
পরে গার্মেন্টস মালিক কর্তৃপক্ষ সেগুলো তাদের কাপড় বলে শনাক্ত করেন। এরই ধারাবাহিকতায় বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে দুই দফায় ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের মধ্যে পাঁচ জন কারাগারে আছেন এবং কাপড় চুরির সাথে সরাসরি জড়িত অন্য পাঁচ জনকে শুক্রবার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়।
পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোর সহকারী পুলিশ সুপার একেএম মহিউদ্দিন সেলিম জানান, এ চক্রটিতে তিনটি পক্ষ আছে। এক পক্ষ সরাসরি চুরির সাথে জড়িত, এক পক্ষ চোরাই মাল ক্রেতাদের সাথে চোরের মধ্যস্থতাকারী এবং অপর পক্ষ চোরাই মালগুলোর ক্রেতা।
এ চক্রের সঙ্গে জড়িত অন্যান্যদের এবং চুরি হওয়া আরও ৪৭ রোল কাপড়ের সন্ধানে পিবিআই কাজ করছে বলে জানান মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক ইলিয়াস খান।
পূর্বকোণ/জেইউ/পারভেজ