সীতাকুণ্ডের জঙ্গল সলিমপুরে পাহাড় থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ শেষে ফেরার পথে প্রশাসন ও পুলিশের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. উমর ফারুক, সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তোফায়েল আহমেদসহ অন্তত ২০ জন। বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকালে উপজেলার জঙ্গল সলিমপুর ছিন্নমূল বড়ইতলা ২ নম্বর সমাজ এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। এ সময় দখলদাররা প্রশাসনের ওপর ককটেল, ইট-পাটকেলও নিক্ষেপ করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পাল্টা গুলি ছোড়ে পুলিশও। পরে আহত ইউএনও ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা গেছে, জঙ্গল সলিমপুর মৌজার বিএস ১ নম্বর খাস খতিয়ানভুক্ত বিএস ৩৬০ ও ৩৬১ দাগের পাহাড় শ্রেণির ১০ একর খাস জায়গা দীর্ঘদিন অবৈধভাবে দখল করে রাখে একদল দখলদার। সম্প্রতি সেই জায়গার একটি অংশে হার্ট হসপিটাল তৈরির জন্য বরাদ্দ দেয়া হলে জায়গাটি দখল মুক্ত করতে সংশ্লিষ্ট দখলদারদের বারবার নৌটিশ প্রদান করে জেলা প্রশাসন। কিন্তু দখলদাররা নৌটিশ আমলে না নিয়ে দখলে রেখে দিলে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসনের ৫ জন ম্যাজিস্ট্রেট ও সীতাকুণ্ডের ইউএনও এবং এসিল্যান্ড ঐ এলাকার ১০ একর সরকারি জায়ঘা দখলমুক্ত করতে অভিযান শুরু করে। এতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় অংশ নেয় জেলা পুলিশের ১২০ জন ফোর্স, এপিবিএন’র ৬০ জন সদস্য, ১০ জন র্যাব সদস্য ও আনসারের ৬০ সদস্য।
এদিকে, অভিযানকালে অবৈধ দখলে থাকা ১২০টি ঘর গুড়িয়ে দেওয়া হলে বিকাল ৩টায় অবৈধ দখলদাররা একত্রিত হয়ে বৃষ্টির মতো ইট-পাটকেল ও ককটেল নিক্ষেপ শুরু করে বলে ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন। এতে ঘটনাস্থলে উপস্থিত সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কেএম রফিকুল ইসলাম, ম্যাজিস্ট্রেট ওমর ফারুক, থানার ওসি তোফায়েল আহমেদ, তার বডিগার্ডসহ অন্তত ২০ জন আহত হন। এভাবে হামলা-পাল্টা গুলির এক পর্যায়ে বিকাল সাড়ে ৪টায় অভিযান শেষ হয়।
সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তোফায়েল আহমেদ বলেন, অভিযানে একের পর এক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করছিলেন জেলা ম্যাজিস্ট্রেটগণ। বিকাল ৩টার দিকে হঠাৎ ইট-পাটকেল ও ককটেল নিয়ে হামলা চালায় অবৈধ দখলদাররা। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায় এবং ঘটনাস্থল থেকে তিনজনকে আটক করা হয়েছে।
পূর্বকোণ/সুমিত্র/রাজীব/এএইচ