চট্টগ্রাম শনিবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২৪

সর্বশেষ:

অভ্যন্তরীণ কোন্দল নিরসনে ফের নেতাদের ঢাকায় তলব!

চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবকলীগ

ইফতেখারুল ইসলাম

৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ | ১১:৪৭ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবকলীগের ২০ সদস্যের আংশিক কমিটিকে ফের ঢাকায় তলব করেছে কেন্দ্র। আগামীকাল সোমবার কলাবাগান ক্রীড়া কমপ্লেক্সে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতৃবৃন্দ তাদেরকে নিয়ে বসবেন। মূলতঃ কোন্দল নিরসনে লক্ষ্যেই তাদেরকে ঢাকায় তলব করা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।

 

স্বেচ্ছাসেবকলীগ মহানগরের সহ-সভাপতি হেলাল উদ্দিন পূর্বকোণকে বলেন, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সম্মেলনে কেন্দ্রীয় সভাপতি অতিথি হিসেবে এসেছিলেন। সে সময় তিনি মহানগর স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি দেবাশীষ নাথ দেবুকে ডেকে বলেছিলেন ২৮ জুলাইয়ের কর্মসূচিতে একসাথে কিভাবে যাবে তা সাধারণ সম্পাদকসহ সবাইকে নিয়ে বসে ঠিক কর। কিন্তু কেন্দ্রীয় সভাপতির নির্দেশ মহানগর সভাপতি দায়িত্ব পালন করতে ব্যর্থ হয়েছেন। কোন উদ্যোগ না নেয়ার কারণে তারা ঢাকায় গিয়েছেন আলাদাভাবে। আলাদা মিছিল নিয়ে ঢাকায় কেন্দ্রীয় কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেছেন। এরপর পুরো আগস্ট মাসজুড়ে মহানগর স্বেচ্ছাসেবকলীগ পৃথকভাবে কর্মসূচি পালন করেছে। মহানগর স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি দেবাশীষ নাথ দেবু পূর্বকোণকে বলেন, কমিটিতে যে ২০ জন নেতা রয়েছেন তাদের নিজেদের মধ্যে কোন কোন্দল নেই। হয়তো ছোট-খাটো মান অভিমান থাকতে পারে।

 

২৮ জুলাই প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে পৃথকভাবে অংশগ্রহণের বিষয়ে তিনি বলেন, তারা একদিন আগে চলে গেছেন। তাই একসাথে যাওয়া হয়নি। কোন্দল নেই তবুও কেন পৃথক কর্মসূচি প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া। তবুও তারা চান সবাইকে নিয়ে একসাথে কাজ করতে।

 

গত বছরের ৯ মার্চ মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের ২০ জনের আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছিল। এরপর পূর্ণাঙ্গ কমিটি ছাড়াই প্রায় দেড় বছর অতিবাহিত হতে চলেছে। সময় যত গড়াচ্ছে মহানগর স্বেচ্ছাসেবকলীগে কোন্দল ততই চরম আকার ধারণ করছে। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে ক্ষুদ্র একটি অংশ রয়েছে। মূলত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ এনেই নির্বাহী কমিটির বাকি নেতৃবৃন্দ সাংগঠনিক কর্মসূচিতে যাচ্ছেন না।

 

অভিযোগ রয়েছে, সভাপতির বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির ঘটনায় এক বছর আগে স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি ফারুক আমজাদ খান ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এ কে এম আজিমকে সদস্য করে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনও আলোর মুখ দেখেনি। এছাড়া সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে গত ফেব্রুয়ারি মাসে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ এনে ক্ষুব্ধ নেতারা ঢাকায় গিয়ে নালিশ দেন। এরপর গত ৩ মার্চ কমিটির নেতাদের ঢাকায় তলব করা হয়। বৈঠকে ২০ সদস্যের মধ্যে ১৫ জনই একাধিক অভিযোগ তুলে ধরেন। কেন্দ্র থেকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার নির্দেশনাও দেয়া হয়।

 

তাঁদের অভিযোগ, সভাপতি সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বাধীন অংশটি স্বেচ্ছাচারিতার মধ্য দিয়ে সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।

 

পূর্বকোণ/আরডি

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট