স্বাস্থ্য সমস্যার সংকট মোকাবেলায় গবেষকদের গুরুত্ব অপরিসীম উল্লেখ করে চট্টগ্রাম-৮ আসনের সংসদ সদস্য নোমান আল মাহমুদ বলেছেন, ‘বর্তমান সরকারের অগ্রাধিকারের ক্ষেত্রসমূহের মধ্যে অন্যতম প্রধান ক্ষেত্র হল বিজ্ঞান ও গবেষণা। দেশে যত বেশি সাম্প্রতিক বিজ্ঞানের বিষয় নিয়ে গবেষণা হবে তত বেশি সমস্যার সমাধান বেরিয়ে আসবে। জিনোমিক্স গবেষণা মানব শরীর ও জীবিত বস্তুর গভীর রহস্যকে অনুধাবন করতে এবং তার পেছনের কারণ নির্ণয় করতে বিশাল ভূমিকা রাখে। চট্টগ্রামে এই নিয়ে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলা দরকার। এই রকম কর্মশালা জনশক্তি তৈরিতে ব্যাপক ভূমিকা রাখতে পারে।’
বুধবার (২৩ আগস্ট) রাতে নগরীর মেহেদীবাগস্থ প্রহর মিলনায়তনে দুই সপ্তাহব্যাপী ‘মেটজিনোমিক্স, নেক্সট জেনারেশন সিকুয়েন্সিং, ডাটা এনালাইসিস’ শীর্ষক কর্মাশালার সমাপানি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। চট্টগ্রামের গবেষণা সংস্থা ডিজিজ বায়োলজি এন্ড মলিকুলার এপিডেমিওলজি রিসার্চ গ্রুপ (ডিবিএমই) এবং নেক্সট জেনারেশন সিকুয়েন্সিং, রিসার্চ এন্ড ইনোভেশন ল্যাবরেটরির (এনরিচ) উদ্যোগে এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. এস এম রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. আদনান মান্নানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-পরিচালক ডা. বিদ্যুৎ বড়ুয়া, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যাথলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. জুনায়েদ সিদ্দিকি, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মেরিন সায়েন্সেস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. শাহনেওয়াজ চৌধুরী। এসময় বক্তব্য রাখেন প্রশিক্ষনার্থী সৌরভ সাহা জয়, সুমাইয়া হাফিজ রিয়ানা এবং আঞ্জেসু পাল।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ডা. বিদ্যুৎ বড়ুয়া বলেন, ‘যে কোন মহামারী মোকাবেলায় জিনোম ও অণুজীব নিয়ে গবেষনা খুব প্রয়োজন। বিজ্ঞানীরা দেশের উন্নতিতে বিশাল ভূমিকা রাখতে পারে। কর্মশালা ও প্রশিক্ষনের মাধ্যমে নিজেদের গবেষণার অবকাঠামো বাড়াতে হবে।
ড. জুনায়েদ সিদ্দিকি বলেন, এসব কর্মশালা চট্টগ্রামকে বিজ্ঞান ক্ষেত্রে স্বয়ংসম্পুর্ন করতে সাহায্য করবে।
ড. শাহনেওয়াজ চৌধুরী বলেন, সাগরের বিশাল সম্পদকে কাজে লাগাতে হলে জিনোম নিয়ে গবেষণা ও বায়োটেকনোলজি নিয়ে কাজকে প্রাধান্য দিতে হবে।
কর্মশালায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ, ইউএসটিসি, এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন, আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫০ জন গবেষক অংশ নেয়। প্রশিক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মোনাশ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ড. হামিদ হোসেন, আইসিডিডিআরবি’র বিজ্ঞানী ড. মুহাম্মাদ জুবায়ের, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. জুনায়েদ সিদ্দিকি এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আদনান মান্নান। কর্মশালার উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের ডায়বেটিস ও হরমোন বিভাগের প্রধান ডা. ফারহানা আকতার।
পূর্বকোণ/রাজীব/পারভেজ