চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২৪

একটি অবৈধ সরকার দেশ পরিচালনা করছে : আমীর খসরু

নিজস্ব প্রতিবেদক

২৩ আগস্ট, ২০২৩ | ১০:৫১ অপরাহ্ণ

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশের মানুষের রাজনৈতিক, সাংবিধানিক অধিকার কেড়ে নিয়ে একটি অবৈধ সরকার দেশ পরিচালনা করছে। কিন্তু আজকের এই প্রেক্ষাপটে, ভোট চুরির প্রকল্প এই যে রেজিম এটার মধ্যে কারা আছে? এর মধ্যে আছে, দুর্বৃত্ত রাজনীতিবিদ, দুর্নীতিবাজ সরকারি কর্মকর্তা, লুটেরা ব্যবসায়ী, আছে বাংলাদেশ আওয়ামী জাতীয় বিচারক লীগ। এটা নতুন এডিশন, ভোট চুরির প্রকল্পে নতুন সংযোজন আওয়ামী বিচারক লীগ।

 

বুধবার (২৩ আগস্ট) বিকালে ইউনাইটেড লইয়ার্স ফ্রন্টের আইনজীবী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। সরকারের পদত্যাগের দাবিতে বিএনপির একদফা দাবির সমর্থনে ইউনাইটেড লইয়ার্স ফ্রন্ট চট্টগ্রামের উদ্যোগে চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির অডিটোরিয়ামে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

 

লইয়ার্স ফ্রন্টের আহবায়ক সাবেক পিপি এড. আবদুস সাত্তারের সভাপতিত্বে ও প্রধান সমন্বয়কারী এড. জহুরুল আলমের পরিচালনায় সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও ইউনাইটেড ল’ ইয়ার্স ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক এড. জয়নুল আবেদীন, যুগ্ম আহবায়ক এড. সুব্রত চৌধুরী, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সদস্য এড. এ এস এম বদরুল আনোয়ার, বাংলাদেশ ইসলামিক ল’ ইয়ার্স কাউন্সিলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এড. জসীম উদ্দীন সরকার, চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এড. নাজিম উদ্দীন চৌধুরী।

 

আমীর খসরু বলেন, যাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের মানুষ আন্দোলন সংগ্রাম চালাচ্ছে এর মধ্যে বিচারক লীগ নতুন সংযোজন। আমাদের একটি বিষয় বুঝতে হবে। সেটা হচ্ছে এই বিচারক লীগের ভূমিকা কি? এই যে প্রেক্ষাপটটা সৃষ্টি হয়েছে বিচার বিভাগের যে নতুন অ্যাক্টর যারা নিজেদের আধা প্রকাশ করতো। আগে প্রকাশ না করে কাজ করেছেন, এখন নিজেদেরকে প্রকাশ করছেন। প্রকাশ করার পেছনে যে বার্তা জাতি পেয়েছে সেটা হচ্ছে সবচেয়ে বিবেচ্য বিষয়। বাংলাদেশের এই গোষ্ঠী যারা একটি ভোট চুরির প্রকল্পের মধ্যে বাংলাদেশের জনগণের সাংবিধানিক, গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নিয়ে এই প্রকল্পের মাধ্যমে টিকে আছে, তারমধ্যে এই বিচারকলীগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

 

তিনি বলেন, বাংলাদেশের নাগরিকরা বিচার বিভাগে নাগরিক সুরক্ষা পাওয়ার বদলে অন্যায় ও অবিচারের শিকার হচ্ছে। সরকারের ভোট চুরি প্রকল্পের কারণে বিরোধীদলের লাখ লাখ নেতাকর্মীকে প্রতিদিন আদালতে যেতে হচ্ছে। বিচারকের মূল ভূমিকা ও তাদের শপথ হচ্ছে বাংলাদেশের সংবিধান এবং বিচারের সুরক্ষা দেওয়া। তারা স্বাধীন ও নিরপেক্ষ থাকবেন। কোনো রাজনীতিতে তারা অংশ নেবেন না। এটা কোর্ট অব কন্ডাক্ট। রাজনীতিতে তারা ভাবাবেগে প্রভাবিত হয়ে বিচার করতে পারবে না। কিন্তু এখন তার ব্যত্যয় ঘটছে।

 

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এড. জয়নুল আবেদীন বলেন, শেখ হাসিনা ১৮ সালের নির্বাচনে সারাদেশে ভোট চুরি করেছিল, কিছুদিন আগে সুপ্রিম কোর্টের নির্বাচনে ভোটও চুরি করে নিয়ে গেছে। তারা এখন শপথবদ্ধ রাজনীতি শুরু করেছে সমস্ত বিচার বিভাগকে ধ্বংস করার জন্য।

 

সমাবেশে এডভোকেট সুব্রত চৌধুরী বলেন, উচ্চ আদালতকে আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক মঞ্চ বানিয়েছে।

 

ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, সরকার বিচার বিভাগকে শেষ করে দিয়েছে। সরকার যা চায় বর্তমান বিচারকরা তাই রায় দিচ্ছেন।

 

এড. জসীম উদ্দীন সরকার বলেন, দেশে আইনের শাসন আজ ভূলুণ্ঠিত। বর্তমান অবৈধ সরকার এখন মৃত ব্যক্তির জানাযাও পড়তে দেয় না।

 

সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির এডহক কমিটির আহ্বায়ক এড. মহসিন রশিদ খান, লইয়ার্স ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এড. জগলুল হায়দার আফ্রিক, সমন্বয়ক এড. সৈয়দ মামুন মাহমুদ, ফ্রন্টের যুগ্ম আহবায়ক এড. মো. আলী, এড. শামসুল হক, এড. মো. শাহাদাত, লইয়ার্স কাউন্সিলের যুগ্ম আহবায়ক এড. একেএম রেজাউল করিম, চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এড. এনামুল হক, লইয়ার্স ফ্রন্টের সদস্য এড. রফিক আহমেদ, এড. আব্দুস সাত্তার সারোয়ার, এড. মুফিজুল হক ভূঁইয়া, এড. হাসান আলী চৌধুরী, সমন্বয়কারী এড. এইচ এম জাহিদ হোসেন, এড. নেজাম উদ্দিন, এড. ইফতেখার হোসেন চৌধুরী মহসিন, এড. হায়দার মো. সোলায়মান প্রমুখ।

 

পূর্বকোণ/জেইউ/পারভেজ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট