দাঁড়িয়ে নয়, এবার বসেই ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) পণ্য কিনলেন উত্তর পতেঙ্গা ৪০ নম্বর ওয়ার্ডের ফ্যামিলি কার্ডধারী গ্রাহকরা। শুধু কি বসে? তপ্ত রোদে টিসিবির পণ্য ক্রয় করতে এসে রীতিমত পান করে গেলেন শরবত-পানিও। বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) এমন দৃশ্য দেখা গেছে নগরীর কাটগড় কন্ট্রোল মোড়
এলাকায়। টিসিবির পণ্য কিনতে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী অরুন দাশ বলেন, পণ্য কিনতে এসে প্রতিবার লাইনে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকলে পা ব্যথা করতো। কিন্তু এবার কোনো কষ্ট ছাড়াই চেয়ারে বসে পণ্য ক্রয় করেছি। ফ্রিতে শরবত-পানিও পান করেছি। সত্যি খুব ভালো লাগছে।
৪০ নম্বর ওয়ার্ডের টিসিবির ডিলার আইনান স্টোরের স্বত্বাধিকারী হাসান রশিদুল জানান, বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বেশি হওয়ায় টিসিবির ট্রাক সেলে ভরসা করছেন নিম্ন ও মধ্যআয়ের মানুষ। তবে লাইনে দাঁড়িয়ে পণ্য কেনা অনেক কষ্টের। তাই ওয়ার্ড কাউন্সিলরের অনুরোধে এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। গ্রাহকরা যাতে কোন প্রকার ভোগান্তি ও কষ্ট ছাড়াই নির্বিঘ্নে পণ্য কিনতে পারেন।
পূর্ব কাটগড় এলাকার বাসিন্দা নজরুল ইসলাম বলেন, বয়োবৃদ্ধদের লাইনে দাঁড়িয়ে পণ্য কেনা অনেক কষ্টের। এভাবে বসে বসে পণ্য কিনতে পারাটা অনেকটা আরামদায়ক। তিনি এমন ব্যতিক্রমী উদ্যোগের জন্য সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানান।
এ ব্যাপারে ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল বারেক বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী দেশব্যাপী এক কোটি ফ্যামিলি কার্ডধারী নিম্নআয়ের পরিবারের মধ্যে ভর্তুকি মূল্যে পণ্য দিচ্ছেন। চলমান এই কার্যক্রমে মানুষের কষ্ট যাতে লাঘব হয় সেজন্য আমি ডিলার আইনান স্টোরকে এ ব্যাপারে আমি অনুরোধ করি। এ ধরনের উদ্যোগের ফলে এলাকার জনসাধারণ খুবই খুশি।’ টিসিবি চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, নগরে টিসিবির পরিবার কার্ডধারী প্রায় তিন লাখ ভোক্তা রয়েছে। নগরে এসব ভোক্তার কাছে পণ্য বিক্রি করছে টিসিবির ১২৬ জন পরিবেশক। পরিবার কার্ডধারী একজন ক্রেতা ১০০ টাকা দরে দুই লিটার সয়াবিন তেল ও ৬০ টাকা দরে দুই কেজি মসুর ডালের পাশাপাশি ৩০ টাকা দরে সর্বোচ্চ ৫ কেজি করে চাল কিনতে পারবেন। সব মিলিয়ে একজন ভোক্তার মোট খরচ পড়বে ৪৭০ টাকা। স্থানীয় বাজার মূল্যের তুলনায় যা অন্তত ৩৮০ টাকা কম।
পূর্বকোণ/এএইচ