চট্টগ্রাম বুধবার, ২৭ নভেম্বর, ২০২৪

সর্বশেষ:

চট্টগ্রামে পাহাড় কেটে রাস্তা-ঘর নির্মাণ, ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক

১২ আগস্ট, ২০২৩ | ৬:৪৬ অপরাহ্ণ

চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদ লিংক রোডের পাশে পাহাড় কেটে রাস্তা ও ঘর নির্মাণের দায়ে ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। শনিবার (১২ আগস্ট) বায়েজিদ লিংক রোডে অভিযান পরিচালনার পর এ তথ্য নিশ্চিত করেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক। অভিযানে আরও ছিলেন পরিবেশ অধিদপ্তরের ইন্সপেক্টর মনির আহমেদ।

 

ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক জানান, সকালে জেলা প্রশাসক বায়েজিদ লিংক রোড দিয়ে যাতায়াতের সময় পাহাড় কেটে রাস্তা নির্মাণের বিষয়টি চোখে পড়েলে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেন। নির্দেশনা পেয়ে পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অবশ্য এর আগে পাহাড় কাটার সাথে সম্পৃক্তরা পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, সিডিএ লিংকরোডের পার্শ্বে প্রায় ৯০ ডিগ্রি খাড়াভাবে পাহাড় কেটে রাস্তা নির্মাণ করেছে আকবর হোসেন খোকন নামে এক ব্যাক্তি। রেকর্ড অনুযায়ী জায়াগাটির মালিক জাফর আহামদ মজুমদার ও মোহাম্মদ হাছান আহাম্মদ কন্ট্রাক্টর হলেও জায়গাটির বায়নামূলে মালিক মো. আকবর হোসেন খোকন। পাহাড় কাটার বিষয়ে সম্পৃক্ততা পাওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে পরিবেশ আইনে নিয়মিত মামলা করা হচ্ছে।

 

তিনি আরও বলেন, ৬৪১ নম্বর বিএস খতিয়ান থেকে সৃজিত নামজারি খতিয়ানের মালিকের বিরুদ্ধে লিংক রোড এলাকায় ১৯৩ দাগে পাহাড় কাটার সত্যতা পাওয়া গেছে। এই টিলা শ্রেণির জমিতে ১৯৩ দাগে ১.৬০ একর জায়গার একাধিক মালিকানা রয়েছে। রেকর্ড অনুযায়ী ওই খতিয়ানের মালিক মোট ১৭ জন। তারা হলেন- আকবর হোসেন খোকন, জাফর আহামদ মজুমদার, মোহাম্মদ হাছান আহাম্মদ কন্ট্রাক্টর, মোহাম্মদ আইয়ুব মিঞ্চা, এস. এম নুরুন্নবী, সৈয়দা মাসকুরা আক্তার, মোছাম্মৎ জেবুন্নাহার খানম, মোছাম্মৎ শকিনা আক্তার চৌধুরী, মো. সোহরাব হোসেন, মোহাম্মদ ইলিয়াছ, মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন, আবুল মনসুর (১৩) মোহাম্মদ ইলিয়াছ, মোহাম্মদ ফরিদ মিয়া, ডা, মোহা আব্দুল্লাহ মামুন, মোহাম্মদ হামিদ, ডা. শামীমা আকতার, মোহাম্মদ সোলায়মান। এই ১৭ জনের নামে মালিকানা থাকলেও অধিকাংশ জায়গায় বায়নাসূত্রে মালিক মো. আকবর হোসেন খোকন। তাদের সবার বিরুদ্ধে পরিবেশ সংরক্ষণ আইনে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে পরিবেশ অধিদপ্তর ও আকবরশাহ থানার ওসিকে নিয়মিত মামলার নির্দেশনা প্রদান করা হয়।

 

তিনি বলেন, এর আগে পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে দুই দফা সরেজমিনে পরিদর্শন করে গেলেও পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে কোন রকম মামলা করা হয়নি।

 

জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, লিংক রোডের পার্শ্বে দৃশ্যমান জায়গায় পাহাড় কেটে অবৈধভাবে রাস্তা নির্মাণ করছে একটি চক্র। দ্রুততার সাথে এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছি। পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত আছে। এক্ষেত্রে কারও ছাড় নেই। পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে আমদের জিরো টলারেন্স। ইতোমধ্যেই যারা পাহাড় কেটেছে তাদের বিরুদ্ধে মামলার মাধ্যমে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

 

পূর্বকোণ/পিআর/পারভেজ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট