চট্টগ্রাম শনিবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২৪

সর্বশেষ:

চট্টগ্রামে আইনজীবী স্বামী হত্যায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত স্ত্রী গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক

৩১ জুলাই, ২০২৩ | ১:৪৬ অপরাহ্ণ

চট্টগ্রাম নগরীর চকবাজারে আইনজীবী ওমর ফারুক ওরফে বাপ্পি হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি রাশেদা বেগমকে (২৮) গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। গ্রেপ্তার রাশেদা কক্সবাজারের চকরিয়া থানার জাকির হোসেনের মেয়ে ও নিহত আইনজীবী ওমর ফারুক ওরফে বাপ্পির স্ত্রী।

 

রবিবার (৩০ জুলাই) নগরীর সৈয়দ শাহ রোড থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

 

র‌্যাব জানায়, নিহত আইনজীবী বাপ্পী মামলা পরিচালনা করতে গিয়ে রাশেদা বেগমের সাথে পরিচিত হয় এবং পরে তারা বিয়ে করেন। বিয়ের পর দাম্পত্য কলহের জেরে দুজনেই দুজনের বিরুদ্ধে পাঁচলাইশ ও কোতোয়ালী থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার পর নিহত আইনজীবী স্ত্রীর দেনমোহরের টাকা পরিশোধ করলেও তাদের মধ্যে কলহ থামেনি। ২০১৭ সালের ২৪ নভেম্বর রাত সাড়ে ৮টায় কাজ শেষে তারা দুজনেই চকবাজারের নিজ বাসায় ফেরেন। পরদিন সকাল ৬টায় বাড়ির দারোয়ান ঘরের দরজা খোলা দেখতে পেয়ে বাড়ির মালিকসহ রুমে প্রবেশ করে আইনজীবী ফারুককে হাত-মুখ স্কচটেপ দ্বারা পেঁচানো ও পা দু’টি লাল ফিতা দ্বারা বাঁধা অবস্থায় মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখে নিহতের পিতা আলী আহমেদ থানায় খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে তার মরদেহ উদ্ধার করে। এ বিষয়ে নিহতের পিতা বাদী হয়ে চকবাজার থানায় তার স্ত্রী রাশেদা বেগমকে আসামি করে মোট ৭ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

 

র‌্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নূরুল আবছার জানায়, মামলাটি তদন্ত শেষে পিবিআই ২০১৮ সালের ৪ এপ্রিল আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০২০ সালের ১৫ অক্টোবর অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে আসামিদের বিরুদ্ধে আদালত বিচারকার্য শুরু করেন। এ মামলায় সর্বমোট ৩২ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৯ জনের সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে ২০২৩ সালের ২৬ জুলাই নিহত আইনজীবীর স্ত্রী রাশেদা বেগম ও হুমায়ুন রশিদকে (২৮) মৃত্যুদণ্ড এবং আল আমিন (২৮), আকবর হোসেন রুবেল ওরফে সাদ্দাম (২৩) ও মো. পারভেজ আলীকে (২৪) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেন আদালত। রায়ের সময় আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হুমায়ুন রশিদ এবং যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি পারভেজ আলী জেল হাজতে ছিল। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত প্রধান আসামি রাশেদা বেগম ও যাবজ্জীবন কারাদপ্রাপ্ত আসামি আল আমিন এবং আকবর হোসেন পলাতক ছিলেন।

 

তিনি আরও বলেন, মামলার রায়ের পর র‌্যাব পলাতক আসামিদের ধরতে গোয়েন্দা নজরদারি শুরু করে। এক পর্যায়ে গতকাল রবিবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চকবাজার থানার সৈয়দ শাহ্ রোড এলাকায় অভিযান চালিয়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি রাশেদা বেগমকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে বাকলিয়া থানায় মাদক সংক্রান্ত ১টি এবং কোতয়ালী থানায় হত্যা চেষ্টা ও মারামারি সংক্রান্ত ১টি মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তার আসামিকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

পূর্বকোণ/পিআর/এসি

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট