২৮ জুলাই ঢাকার মহাসমাবেশে যোগ দিতে যাওয়া চট্টগ্রামের বিএনপি নেতাকর্মীদের সমাবেশের আগের দিন পুলিশ গ্রেপ্তারপূর্ব কারাগারে দেয়ার প্রতিবাদ জানিয়েছেন চট্টগ্রাম বিএনপি।
প্রতিবাদ জানান, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর খোন্দকার, এস এম ফজলুল হক, চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন, সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান।
রবিবার (৩০ জুলাই) এক বিবৃতিতে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে নেতৃবৃন্দ বলেন, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিকে আমলে না নিয়ে সরকার হামলা মামলা করে বিরোধীদলের গণতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণ আন্দোলন দমনের ন্যাক্কারজনক পথ বেছে নিয়েছে। সভা সমাবেশ করা সবার মৌলিক ও নাগরিক অধিকার। কিন্তু ঢাকার মহাসমাবেশে যোগ দিতে যাওয়া চট্টগ্রামের বিএনপি নেতাকর্মীদের বিনা অপরাধে পুলিশ গ্রেপ্তার করা সরকারের ফ্যাসিবাদী রূপের বহিঃপ্রকাশ।
নেতৃবৃন্দ বলেন, সমাবেশের আগের দিন পুলিশ বাসাবাড়ি ও বিভিন্ন হোটেল থেকে চট্টগ্রাম মহানগরীর বায়েজিদ থানা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক মো. ইউছুপ, পাঁচলাইশ ৩ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল হালিম কালু, মহিউদ্দিন জুয়েল, মহানগর যুবদল নেতা এম আর খান ফারুক, নাজিম উদ্দিন হিরো, ইপিজেড থানা বিএনপির সি. সহ সভাপতি মোজাদ বারেক, সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরান খান, আব্বাস আলী, পূর্ব বাকলিয়া ওয়ার্ড বিএনপি নেতা মো. ওসমান, মো. সিরাজ, মহানগর স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা মঈনুদ্দিন বারেক, পাঁচলাইশ থানা ছাত্রদলের আহবায়ক শাহাদাত হোসেন সাজ্জাদ, হালিশহর থানা ছাত্রদলের সদস্য সচিব সামিউল কবির সিয়াম, যুগ্ম আহবায়ক মাহবুব আলম অপু, ডবলমুরিং থানা ছাত্রদল নেতা রাহাদ মির্জা, বায়েজিদ থানা ছাত্রদল নেতা শাকিল খান সহ অসংখ্য নেতৃবৃন্দকে গ্রেপ্তার করে বেধড়ক মারধরের পর কারাগারে পাঠিয়েছে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, দেশে বিদেশে বর্তমান সরকারের জনসমর্থন এখন তলানিতে। তারা গায়ের জোরে রাষ্ট্রীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ব্যবহারের মাধ্যমে ফের ক্ষমতায় থাকার চক্রান্ত করছে। এবার তাদের পতন নিশ্চিত ভেবেই আওয়ামী লীগ সরকার বিরোধীদলের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে হামলা চালিয়ে গণগ্রেপ্তার করছে।
বিএনপিসহ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর কর্মসূচিকে ঘিরে সরকারি দল পাল্টা কর্মসূচি ও অবস্থান নেওয়ার ঘোষণা দিচ্ছে। এতে করে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি সৃষ্টি ও জনগণের জানমালের কোনো ক্ষতি হলে এ দায় সরকারকেই নিতে হবে।
নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে ঢাকায় গ্রেপ্তারকৃত চট্টগ্রামের বিএনপির সকল নেতাকর্মীর নিঃশর্ত মুক্তি দাবি জানান।
পূর্বকোণ/জেইউ/পারভেজ