মেরামত, নবায়ন ও পথচারী পারাপারে পৃথক একটি ওয়াক ওয়ে নির্মাণ কাজের জন্য কালুরঘাট সেতু তিন মাসের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে রেলওয়ে। এ সংস্কার কাজের জন্য গত ১৮ জুন ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড নামের এক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তি করে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম হয়ে কক্সবাজার পর্যন্ত ট্রেন চলাচলের জন্য ৯২ বছরের পুরোনো কালুরঘাট সেতুটি সংস্কার করা জরুরি হয়ে পড়েছে। ফলে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পরামর্শক দলের সুপারিশ অনুযায়ী প্রায় ৫৫ কোটি টাকা ব্যয়ে সেতুটি সংস্কার করা হচ্ছে। এ সংস্কার কাজের জন্য আগামী ১ আগস্ট থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত বন্ধ থাকবে কালুরঘাট সেতু। এ সময় নদী পারাপারে ব্যবহার করা যাবে ফেরি।
রেলওয়ের (পূর্ব) প্রধান প্রকৌশলী আবু জাফর মিঞা বলেন, সেতুর সংস্কারের জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ইতিমধ্যে প্রস্তুতিমূলক কাজ শেষ করে সাইটে নির্মাণ সামগ্রী ও ইকুইপমেন্ট মোবিলাইজেশন শুরু করেছে। আশা করছি আগস্টে সেতুটির ডেকিং ডিসমেন্টলিং (খোলা) এর কাজ আরম্ভ করা হবে।
তিনি জানান, দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার পর্যন্ত সিঙ্গেল লাইন ডুয়েল গেজ ট্র্যাক নির্মাণ প্রকল্পের কাজ সেপ্টেম্বরে শেষ হবে এবং ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম হয়ে কক্সবাজার পর্যন্ত ট্রেন চলাচল শুরু হবে বলে আশা করা যায়। সেই জন্য সেতুর প্রয়োজনীয় মেরামত কাজ শেষ করে হায়ার এক্সেল লোড ক্ষমতা সম্পন্ন লোকো মোটিভ চলাচলের উপযোগী করা প্রয়োজন।
যদিও ২০০১ সালে এই সেতুটিকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে ঘোষণা দিয়েছিল রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। ২০০৪ সালে ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে কালুরঘাট সেতুতে বড় ধরনের সংস্কার কাজ করা হয়েছিল। এরপর ২০১২ সালে আরেক দফা সংস্কার করা হয় সেতুটির। গত মার্চ মাসে সেতু দিয়ে ভারী এবং বড় আকারের যানবাহন চলাচলে উচ্চতা প্রতিবন্ধক দেয় রেলওয়ে। এতে সীমিত হয়ে আসে যানবাহন পারাপার। ওই সময় ফেরি সার্ভিসের সার্বিক প্রস্তুতি থাকলেও টোল নির্ধারণের জটিলতায় আটকে যায় ফেরি চলাচল। ফলে নগরগামী ভারী ও বড় আকারের গাড়িগুলো কর্ণফুলী শাহ আমানত ব্রিজ দিয়ে যাতায়াত করছে।
সওজ চট্টগ্রাম অঞ্চলের নির্বাহী প্রকৌশলী পিন্টু চাকমা জানান, আমরা প্রস্তুত রয়েছি। গাড়ি পারাপারে সওজ নিজস্ব জনবল দিয়ে ফেরি সার্ভিস পরিচালনা করবে।
পূর্বকোণ/মাহমুদ