গরমের সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েই চলেছে লোডশেডিং। গত রবিবার থেকে চট্টগ্রামে তীব্র আকার ধারণ করে লোডশেডিং। রবিবার দিবাগত রাত ১২টা থেকে সোমবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় ৮ ঘণ্টারও বেশি সময় লোডশেডিং ছিল। গরমে এমনিতেই মানুষ অতিষ্ঠ। তার উপর লোডশেডিংয়ের যন্ত্রণায় দুর্বিষহ দিন পার করছে সাধারণ মানুষ। বিদ্যুৎ না থাকায় বিভিন্ন এলাকার মানুষ গৃহস্থালির পানিও পাচ্ছেন না।
একদিকে প্রচণ্ড গরম অন্যদিকে চাহিদার বিপরীতে বিদ্যুৎ উৎপাদন কম হওয়ায় লোডশেডিং তীব্র আকার ধারণ করেছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তারা।
এদিকে, গত রবিবারের চেয়ে গতকাল চট্টগ্রামে তাপমাত্রাও বেড়েছে। ফলে মানুষের গরম অনুভব হচ্ছে বেশি। সোমবার চট্টগ্রামের তাপমাত্রা ছিল ৩৫ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সেখানে রবিবারের তাপমাত্রা ছিল ৩৪ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত কয়েক দিনে গরম অনুভব বেশি হওয়ায় ফ্যান ও এসি ব্যবহারের সংখ্যাও বেড়েছে।
পিডিবি’র সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গতকালের বিদ্যুতের চাহিদা ছিল ১৫শ ৬২ মেগাওয়াট। আর চট্টগ্রামের বিভিন্ন বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন ছিল ১২শ ৬২ মেগাওয়াট। চাহিদায় ঘাটতি থাকায় ৩শ মেগাওয়াট লোডশেডিং করে পরিস্থিতি সামাল দিতে হয়েছে চট্টগ্রাম বিদ্যুৎ বিভাগকে।
আকবর শাহ এলাকার বেসরকারি চাকরিজীবী মো. আফজাল বলেন, তিন/চার দিন থেকে লোডশেডিং আবার বেড়েছে। এর আগে লোডশেডিং কিছুটা স্বাভাবিক ছিল। কিন্তু এখন দিনের মধ্যে অর্ধেক সময় বিদ্যুৎ থাকে না। গতকালের দিনটি প্রতি এক ঘণ্টা পর পর বিদ্যুতের আসা-যাওয়ার মধ্যে অতিবাহিত হয়। আইপিএসের চার্জ দেয়ার মতো বিদ্যুতও পাওয়া যায়নি। বাকলিয়া এলাকায়ও দিনের অর্ধেক সময় লোডশেডিং ছিল বলে জানান একাধিক বাসিন্দা।
১৯ নম্বর বাকলিয়া ওয়ার্ডের মিয়াখান নগর এলাকার মুদি দোকানি মো. ইসহাক সওদাগর জানান, একবার বিদ্যুৎ গেলে দেড় থেকে দুই ঘণ্টা পর আসে। এক থেকে দেড় ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকার পর আবার চলে যায়। দোকানের আইক্রিমসহ ফ্রিজের আইটেমগুলো নষ্ট হওয়ার পথে।
পিডিবি’র তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী অশোক কুমার চৌধুরী জানান, চাহিদার তুলনায় উৎপাদন না হওয়ায় অগত্যা লোডশেডিং করতে হচ্ছে। অবশ্য বিকেলের পর লোডশেডিং ছিল না।
পূর্বকোণ/মাহমুদ