চট্টগ্রাম শনিবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২৪

সর্বশেষ:

সারাদিন জাল ফেলে এক কেজি মাছও মিলে না : গোপাল জলদাস

পূজন সেন, বোয়ালখালী

১৯ জুলাই, ২০২৩ | ১২:০৬ অপরাহ্ণ

‘কর্ণফুলীতে ডালা ফাইস্যা, মধু ফাইস্যা, রিস্যা, পোপা, বাটা, বাচা, চেওয়া, টেংরা, চিড়িং, আইড়, বাইলাসহ হরেক প্রজাতির মাছ পাওয়া যেত। মিঠাপানির এসব মাছের স্বাদ ছিল অনন্য। জালে এখন খুব একটা মাছ পড়ে না। ১০-১২ বছরে নদীতে আশঙ্কাজনক হারে মাছ কমে গেছে। সারাদিন নদীতে জাল ফেলে এক কেজি মাছ পাওয়া যায় না। নদীপাড়ের কৈবর্ত্যপাড়ায় অভাব-অনটন লেগে রয়েছে। এতে ৯০ শতাংশ জেলে বাপ-দাদার পেশা ফেলে অন্য পেশায় চলে গেছেন।’

 

কর্ণফুলীর পাড়ে বসে নদীর দিকে তাকিয়ে আক্ষেপের সুরে কথাগুলো বললেন কধুরখীল কৈবর্ত্যপাড়ার ষাটোর্ধ্ব গোপাল কৈবর্ত্য দাস। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, পুরোনো দিনের কথা মনে পড়লে ‘পেট পোড়ে, মন কাঁদে’। মিলকারখানার বর্জ্যরে কারণে অনেক ধরনের মাছ এখন আর পাওয়া যায় না।

 

এছাড়াও নদীতে বালু তোলার ভলগেট ও ড্রেজারের ব্যবহার ব্যাপকভাবে বেড়ে যাওয়ায় মাছ হারিয়ে যাচ্ছে। কালুরঘাট এলাকায় আগে প্রচুর ডলফিন ঘোরাফেরা করতো। এখন দেখাই যায় না।

 

কালুরঘাটের ফাইস্যা মাছ বিখ্যাত। রান্না করলে ঝোল অমৃতের মতো হতো। ঝাঁকে ঝাঁকে ধরা পড়তো। এখন প্রায় উধাও হয়ে গেছে। নদীতে বেহুন্দি, টানা, ঘেরা, ঠেলাসহ নানা ধরনের জাল ব্যবহার করেন জেলেরা। ডিঙি নৌকা বেয়েও মাছ ধরা হয়। কিন্তু আগের মতো আর মাছ মিলে না নদীতে।

পূর্বকোণ/মাহমুদ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট