চট্টগ্রাম নগরীর ডবলমুরিং থানাধীন সরকারি খাদ্যগুদামের এক নিরাপত্তা প্রহরীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিহত ওসমান গণি (৪০) কক্সবাজার সদর থানার তাজুল ইসলামের ছেলে।
বুধবার (৫ জুলাই) রাত সাড়ে ১১টায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতের ছোট ভাই আব্দুর গফুর পূর্বকোণকে বলেন, আমার ভাই গত ফেব্রুয়ারি মাসে বদলি হয়ে দেওয়ানহাট এলাকার এই খাদ্যগুদামে আসেন। কক্সবাজারে চাকরি করার সময় জিয়াউল হক নামে আরেক নিরাপত্তা প্রহরী আমার ভাইকে নানাভাবে উত্যক্ত করতো। এখানে আসার পর জিয়াউল হক আবারও তাকে নানা সময় উস্কানিমূলক কথা বলে তাকে ক্ষেপাতো। এ কারণে তিনি ঊর্ধ্বতন অফিসারের কাছে বিষয়টি জানালে গত মাসে আমার ভাইকে অন্য একটি রুমে সরিয়ে নেন কর্তৃপক্ষ। গতকাল রাতে আমার ভাই ডিউটি করছিলেন। এসময় পূর্ব পরিকল্পিতভাবে জিয়া আমার ভাইয়ের ওপর হামলা চালিয়ে তাকে মারধর করে আহত করে। পরে ওখানকার লোকজন এসে আমার ভাইকে উদ্ধার করে। এর কিছুক্ষণ পর তিনি বাথরুমে গেলে সেখানে মাথা ঘুরে পড়ে যায়। সেখানেই তার মৃত্যু হয়।
খাদ্য গুদামের ম্যানেজার মো. জাহাঙ্গীর বলেন, গতকাল রাতে ডিউটিরত অবস্থায় দুই নিরাপত্তা প্রহরী মারামারি করেছে। এতে একজনের মৃত্যু হয়েছে। অন্য জনকে পুলিশ আটক করে নিয়ে গেছে। তবে কি কারণে তারা মারামারি করছে বিষয়টি জানি না।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ নুরুল আলম আশেক বলেন, গতকাল রাতে ওসমান গণি নামে এক নিরাপত্তা প্রহরীকে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাখাওয়াত হোসেন পূর্বকোণকে বলেন, গতকাল খাদ্যগুদামের এক নিরাপত্তা প্রহরীকে পেটানো হয়েছে। এরপর তার মৃত্যু হয়েছে। মরদেহ চমেক হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় আমরা জিয়াউল হক নামে আরেক নিরাপত্তা প্রহরীকে আটক করেছি। মামলা প্রক্রিয়াধীন।
পূর্বকোণ/পিআর/এসি