চলছে ভরা বর্ষা। কিন্তু প্রকৃতি দেখে পুরোপুরি বর্ষার রূপ উপলব্ধি করা না গেলেও বাজারে এসেছে বর্ষা মৌসুমের নানা ধরণের ফল। নগরীর বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে ভ্যানগাড়িতে দেখা মিলছে ডেউয়া, গাব, লটকন, পেয়ারার মতো মৌসুমি ফলের।
নগরীর চকবাজার মোড়ে ভ্যানগাড়িতেই বিভিন্ন ধরণের সবজির সঙ্গে লটকন, বিলাতি গাব আর ডেউয়া ফল বিক্রি করছেন বিক্রেতা সোহাগ মিয়া। লটকন কেজি প্রতি ১৮০ থেকে ২০০ টাকায়, গাবের পিস ১৫ থেকে ২০ টাকা, ডেউয়ার পিস ২৫ থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি করছেন। তিনি বলেন, এসব ফল রাঙামাটি, খাগড়াছড়িসহ বিভিন্ন উপজেলা থেকে আসে।
বিক্রি কেমন, এই প্রশ্নে তিনি বলেন, বিক্রি ভালো। বরণ যা প্রয়োজন তা আমরা পাইনা। তবে লটকন ফল অনেক বেশি আসে রাজশাহী নরসিংদী থেকে। আবার রাঙামাটিরগুলো অনেক বেশি পাওয়া যায়। নারী ক্রেতাদের আগ্রহ বেশি দেখা যায় এসব ফলের প্রতি। তাই দামও একটু বেশি পড়ে।
তার কাছে খুব অল্প পরিমাণে বর্ষার ফল কাউ পাওয়া যায়। যেগুলা বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে। তিনি বলেন, বর্ষার ফল কাউ খুব একটা পাওয়া যায় না। পেলেও দাম বেশি থাকে। অল্প সময়ের মধ্যে বিক্রি হয়ে যায়। প্রতি কেজি কাউ ফলের দাম পড়ছে ২৮০ টাকা।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, বর্ষার মৌসুমি ফলগুলো দোকানভেদে বিভিন্ন দামে বিক্রি হচ্ছে। ডেউয়া কেজি প্রতি ২৫০-৩০০ টাকায়, লটকন ১৮০-২০০ টাকায়, গাব ৩০০ টাকায়, পেয়ারা ডজন ৫০-৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ক্রেতা আফরোজা আলম অফিস থেকে ঘরে ফিরতে লটকন দেখে ঘুরে দাঁড়ান। দাম বেশি দেখে কিছুটা গড়িমসি করেন। তবে শেষমেষ বেশি টাকায় আদাকেজি লটকন কিনেন। তিনি বলেন, আমার মেয়ে লটকন খেতে পছন্দ করে। আমারও পছন্দ তাই কিনেছি। আগের চেয়ে দাম বেড়েছে। তবুও মৌসুমি ফল তাই অল্প করে হলেও কিনি।
পূর্বকোণ/এসি