চট্টগ্রাম শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪

সর্বশেষ:

সৈকত ঢেলে সাজাতে গুচ্ছ পদক্ষেপ

নিজস্ব প্রতিবেদক

২৭ জুন, ২০২৩ | ১২:০৭ অপরাহ্ণ

পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতকে ঘিরে তৈরি হবে মাস্টার প্ল্যান। সেই মাস্টার প্ল্যান অনুযায়ী তৈরি হবে হোটেল, মোটেল ও অবকাঠামো। গুরুত্ব পাবে বিদেশি পর্যটক ও শিশুদের থাকবে এক্সক্লুসিভ জোন। সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় এনে সার্বিক নজরদারিতে থাকবে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত। এমন ২১টি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়ে ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা করেছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন।

 

গতকাল সোমবার দুপুরে চট্টগ্রাম জেলা প্রসাশনের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান চট্টগ্রাম বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রাকিব হাসান, বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটি সদস্য সচিব ও হোটের সৈকতের ম্যানেজার মো. সরওয়ার উদ্দিন, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি চৌধুরী ফরিদ, পুলিশের পতেঙ্গা জোনের এসি মো. আরিফ, চট্টগ্রাম ট্যুরিস্ট গ্যাংয়ের কর্ণধার সাকিব নাবিল, আনোয়ারা, বাঁশখালী, সীতাকুণ্ড ও মিরসরাই উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন পর্যটন সংস্থার প্রতিনিধি।

 

সভার সিদ্ধান্তগুলোর মধ্যে রয়েছে- সমুদ্র সৈকতের জন্য মাস্টার প্ল্যান তৈরি। চট্টগ্রাম বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির অনুমতি ও অনুমোদন ছাড়া পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে কোন ধরনের উন্নয়নমূলক কাজ না করা। বিচ সংশ্লিষ্ট এলাকায় স্থায়ী বা অস্থায়ী অফিস স্থাপন। চট্টগ্রামের পর্যটকদের জন্য চালু করা বিআরটিসির বাস দুটি বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির নামে ভাড়া বা বরাদ্দ নেওয়া। সমুদ্র সৈকত এলাকার কাছাকাছি স্থানে লাইটার জাহাজ না রাখা। মাস্টার প্ল্যান বাস্তবায়নের পূর্ব পর্যন্ত সৈকতের দোকনসমূহ পুনর্বাসনের ব্যবস্থা গ্রহণ। বিচ এলাকায় পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার জন্য ইউনিফর্মধারী সেবক নিয়োগ। বিচ সংশ্লিষ্ট এলাকায় সুষ্ঠু সেবা সরবরাহের জন্য পার্কিং, বিভিন্ন সেবাগুলো জোন ভিত্তিতে ভাগ করা। বিচের গেজেটভূক্ত এলাকা চিহ্নিত করে উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন ও অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ। বিচ সংশ্লিষ্ট এলাকায় বিদ্যুৎ সঞ্চালনের ব্যবস্থা করা। পর্যটকদের জন্য বিভিন্ন সুবিধাদির ব্যবস্থাসহ সৈকতের সার্বিক উন্নয়ন, নিয়ন্ত্রণ এবং ব্যবস্থাপনাসহ বিদেশি পর্যটকদের জন্য সৈকতে এক্সক্লুসিভ জোন নির্ধারণ ও রক্ষণাবেক্ষণ। বিচ এলাকায় শিশুদের জন্য আলাদা জোন তৈরি। পর্যাপ্ত টয়লেট, শৌচাগার, চেঞ্জিং রুম ও ক্যাফেটেরিয়া নির্মাণ। বিচ এলাকায় ফটোগ্রাফারসহ বিভিন্ন সেবা প্রদানকারীদের সংখ্যা নির্দিষ্টকরণ ও সেবার মূল্য নির্ধারণ। বিচ এলাকায় ভিক্ষুক ও ভবঘুরেদের নিয়ন্ত্রণ। উন্নয়ন কাজ পরিচালনার জন্য তহবিল সৃষ্টি, সৈকত ব্যবস্থাপনা ফি নির্ধারণ ও আদায় এবং স্বেচ্ছাকৃত তহবিল গ্রহণ ও আয়ের উৎস নির্ণয়। সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় আনা ও হোটেল নির্মাণ এবং পর্যটক সুবিধা সম্বলিত অবকাঠামো নির্মাণ ইত্যাদি।

পূর্বকোণ/পিআর

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট