চট্টগ্রাম নগরীর খুলশী আমবাগান ও পাহাড়তলিতে পৃথক অভিযানে গত শুক্রবার রাতে ইয়াবা পাচারে জড়িত থাকার অভিযোগে আওয়ামী লীগ নেতাসহ এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে নগর গোয়েন্দা পুলিশ। তাদের কাছে ৮শ ইয়াবা পাওয়া গেছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হল, কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের মৃত ফজলুর রহমানের ছেলে মো. আবু বক্কর (৬১) ও পাহাড়তলির মধ্যম সরাইপাড়ার মীর বাড়ির মীর মোহাম্মদ আরিফ উদ্দিনের স্ত্রী বাবলি সুলতানা। আবু বক্কর ১৩ নম্বর পাহাড়তলী আওয়ামী লীগের ‘বি’ ইউনিটের সভাপতি। বক্করের দলীয় পদে থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ১৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কায়সার মালিক।
এ ব্যাপারে গোয়েন্দা কর্মকর্তা মৃদুল কান্তি দে বাদী হয়ে খুলশী থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় মীর আরিফ উদ্দিনকেও পলাতক হিসাবে এজাহারভুক্ত আসামি করা হয়েছে।
নগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার (উত্তর-দক্ষিণ) নিহাদ আদনান তাইয়ান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার রাত ১০টার সময় নগরীর আমবাগানে অভিযান চালিয়ে আবু বক্করকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার প্যান্টের পকেটে ২০০ ইয়াবা পাওয়া যায়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বক্কর জানান, মধ্যম সরাইপাড়ার জনৈক মীর মোহাম্মদ আরিফ উদ্দিনের কাছ থেকে তিনি ইয়াবাগুলো সংগ্রহ করেছেন। রাতে মধ্যম সরাইপাড়ায় অভিযান চালানো হয়। এ সময় আরিফ ও তার স্ত্রী বাবলি সুলতানা দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে। বাবলিকে গ্রেপ্তার করা হলেও আরিফ পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। বাবলির ভ্যানিটি ব্যাগে আরো ৮’শ ইয়াবা এবং ইয়াবা বিক্রির ৮৫০০ টাকা পাওয়া যায়। বক্কর, বাবলী ও আরিফকে আসামি করে এ ব্যাপারে খুলশী থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার বক্করের পরিচয় সম্পর্কে পুলিশ কোন তথ্য দিতে না পারলেও ১৩ নম্বর পাহাড়তলী ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কায়সার মালিক বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আবু বক্কর ১৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ‘বি’ ইউনিটের সভাপতি। ইয়াবাসহ আবু বক্কর পুলিশের হাতে ধরা পড়ার বিষয়টি তিনিও শুনেছেন বলে জানান।
পূর্বকোণ/জেইউ/পারভেজ