চট্টগ্রাম সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৪

সর্বশেষ:

‘নারী ও শিশুর উন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে’

অনলাইন ডেস্ক

২২ জুন, ২০২৩ | ৫:১৫ অপরাহ্ণ

মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার নারী ও শিশুর উন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে বিভিন্ন প্রকল্প, আইন ও কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে। নারী শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে সরকারের সাথে উন্নয়ন সহযোগী, জনপ্রতিনিধি, সিভিল সোসাইটি ও ধর্মীয় নেতৃবৃন্দকে এগিয়ে আসতে হবে।

 

তিনি আরও বলেন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন সংশোধন ২০২০ আইনে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড ও ডিএনএ পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করায় দ্রুত অপরাধী শনাক্ত এবং ন্যায় বিচার নিশ্চিত হচ্ছে। পূর্বে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ছিল ৪৫ টি, সরকার ট্রাইব্যুনালের সংখ্যা বাড়িয়ে ১০৬ টি করেছে। বহুমুখী এসব কার্যক্রমের ফলে নারী ও শিশু নির্যাতন কমেছে।

 

বুধবার (২১ জুন) চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থাপিত ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার ও ডিএনএ স্ক্রিনিং ল্যাব্রেটরির কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে হাসপাতালের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

 

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রি. জে. মো. শামীম হাসানের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ফরিদা পারভীন, জাতীয় মহিলা সংস্থার নির্বাহী পরিচালক ও ডিএনএ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবেদা আক্তার, ডিএনএ অধিদপ্তরের পরিচালক যুগ্মসচিব সুফিয়া নাজিম, হাসপাতালের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. সাহানা আক্তার ও হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. অংসুই প্রু মারমা।

 

প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা বলেন, নির্যাতনের শিকার নারী ও শিশুর ন্যায় বিচার নিশ্চিত করতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ ক্যাম্পাসে ন্যাশনাল ফরেনসিক ডিএনএ প্রোফাইলিং ল্যাবরেটরি এবং ৭টি বিভাগ এবং ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বিভাগীয় ডিএনএ স্ক্রিনিং ল্যাবরেটরি স্থাপন করা হয়েছে। নির্যাতনের শিকার নারী ও শিশুদের জন্য মনোসামাজিক কাউন্সেলিং প্রদানের লক্ষ্যে ঢাকায় ন্যাশনাল ট্রমা কাউন্সেলিং সেন্টার এবং ৮টি রিজিওনাল ট্রমা কাউন্সেলিং সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে। ন্যাশনাল হট লাইন ১০৯ থেকে ২৪ ঘন্টা বিনামূল্যে সেবা প্রদান করা হয়।

 

তিনি বলেন, নারী নির্যাতন প্রতিরোধকল্পে মাল্টিসেক্টরাল প্র্রোগ্রাম প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। এ প্রকল্পের আওতায় ১৪টি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার, ৪৭টি জেলা সদর হাসপাতাল এবং ২০টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মোট ৬৭টি ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেল স্থাপন করা হয়েছে।

 

মতবিনিময় সভায় চট্রগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগের ডাক্তার এবং ওসিসির কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

পূর্বকোণ/পিআর

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট