পতেঙ্গায় ‘প্লাস্টিক কে “না” বলুন’ প্রতিপাদ্য নিয়ে প্লাস্টিক বিরোধী ক্যাম্পেইন করেছে বারাকা গ্রুপ। বুধবার (১৪ জুন) সকালে ক্যাম্পেইন থেকে পতেঙ্গা পাওয়ার লিমিটেডের সম্মুখের খাল থেকে প্লাস্টিক বোতল, প্লাস্টিকের প্যাকেটসহ নানা ধরনের অপচনশীল ময়লা-আবর্জনা অপসারণ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ৪১ নং পতেঙ্গা ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছালেহ আহমদ চৌধুরী ও বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার লিমিটেডের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (প্লান্ট) ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম।
ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম বলেন, বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার লিমিটেডের প্রতিটি কর্মক্ষেত্রে পরিবেশগত বিষয়ে সচেতনতা অবলম্বন এবং পরিবেশ আইন মেনে কর্মপরিচালনা করা হয়। সবার জন্য নিরাপদ আগামী নিশ্চিত করার জন্য পরিবেশগত উন্নয়ন জরুরি। এক্ষেত্রে দেশের সব পর্যায়ে সচেতনতা বাড়ানো ও ভূমিকা রাখার কোনো বিকল্প নেই। প্লাস্টিক বোতল, প্লাস্টিকের প্যাকেটসহ নানা ধরনের অপচনশীল ময়লা-আবর্জনা ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব। পরিবেশ রক্ষায় এবং এই বিষয়ে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কথা বিবেচনা করে এখনই দৃঢ় পদক্ষেপ নেওয়ার সময়।
তিনি আরও বলেন, আমাদের বাংলাদেশের পরিবেশ কয়েক বছর ধরে রয়েছে চরম বিপর্যয়ের মুখে। পরিবেশের বিরূপ প্রভাব বিস্তারকারী নানা ধরনের উপাদানের কারণে বর্তমানে আমাদের পরিবেশ এখন প্রায় ধ্বংসের মুখে। দিন যতই গড়িয়ে যাচ্ছে, ততই প্রভাব পরছে আমাদের প্রকৃতির ওপর। নানামুখী চাপে আজ পরিবেশ বিপর্যস্ত। তার মধ্যে রয়েছে আবার আমাদের হাতে পরিবেশ ধ্বংসকারী নানান প্রকারের বস্তু, যেমন প্লাস্টিক, পলিথিন, প্লাস্টিক বোতল, প্লাস্টিকের প্যাকেটসহ পানি শোষণকারী বিদেশি জাতের পরিবেশ ধ্বংসকারী বিভিন্ন রকম গাছ, কার্বন নিঃসরণকারী নানামুখী প্রকল্প, গাড়ির কালো ধোঁয়াসহ আরও বিভিন্ন উপাদান। বিজ্ঞানীরা মনে করেন এই প্লাস্টিক ও পলিথিন যতভাবেই প্রক্রিয়া করা হোক না কেন, তা পচতে সময় লাগবে সাড়ে ৪০০ থেকে ৫০০ বছর। এই যদি হয় পরিস্থিতি, তাহলে মাটির নিচে গেলেও এই পলিথিন ও প্লাস্টিক বর্জ্য মাটির স্বাভাবিক স্তরকে ধ্বংস করছে। এ ধরনের সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক পরিবেশে তথা খাল বিল জমি নদী সাগরে গিয়ে মাইক্রো প্লাস্টিকে রূপান্তর হয়ে ফিরে আসে, যা মানব দেহের ভয়ংকর কোলন ক্যান্সার, শ্বাসকষ্ট, ব্রেস্ট ক্যান্সারসহ নানাবিধ জটিল রোগ এর জন্য দায়ী।
ক্যাম্পেইনে উপস্থিত ছিলেন বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার লিমিটেডের মেকানিক্যাল বিভাগের প্রধান জান্নাত হোসেন, ইলেকট্রিক্যাল বিভাগের প্রধান মো. ইসহাক আলী, অপারেশন বিভাগের প্রধান মো. রেজাউল করিম, ফুয়েল বিভাগের প্রধান মুফতি আব্দুল খলিল আল জামি, মানব সম্পদ ও প্রশাসন বিভাগের প্রধান মো. মোজাম্মেল হক এবং ক্যামিকেল এন্ড এনভায়রনমেন্ট বিভাগের প্রধান আসিফ আহমেদ কোরাইশি প্রমুখ।
পূর্বকোণ/রাজীব/পারভেজ