চট্টগ্রাম বুধবার, ৩০ অক্টোবর, ২০২৪

সর্বশেষ:

কলেরার জীবাণুর কারণেই চট্টগ্রামে ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাব

নিজস্ব প্রতিবেদক

৯ জুন, ২০২৩ | ৯:২৪ অপরাহ্ণ

কলেরার জীবাণুর কারণেই গত মে মাসে চট্টগ্রামে ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাব বেড়েছিল বলে জানিয়েছে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)। গেল মাসে সংস্থাটির একটি প্রতিনিধি দল চট্টগ্রামের বিভিন্ন হাসপাতাল ও এলাকা পরিদর্শন শেষে নমুনা সংগ্রহের পর বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে। সংস্থাটির তদন্তে ওঠে এসেছে খাবার ও ব্যবহারের পানি থেকেই ডায়রিয়ার উদ্ভব হয়। তাই পানি বিশুদ্ধকরণের পরামর্শ সংস্থাটির।

এর আগে ৫ মে চট্টগ্রামের পটিয়া, বোয়ালখালী, আনোয়ারা ও চন্দনাইশ উপজেলায় ডায়রিয়ার প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় আইইডিসিআরকে চিঠি  দেন চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী। চিঠিতে আলোচ্য চার উপজেলায় ডায়রিয়া আউট ব্রেক ইনভেস্টিগেশন বা কারণ অনুসন্ধানসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বলা হয়। পরবর্তীতে ১২ সদস্যের এ দল চট্টগ্রামে এসে নগর ও পটিয়া এবং বোয়ালখালী উপজেলায় সরেজমিনে গিয়ে ডায়রিয়া পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ, রোগীদের সাক্ষাতকার গ্রহণ এবং বিভিন্ন নমুনা পরীক্ষার মধ্য দিয়ে তদন্ত শেষ করে। এর পর ঢাকায় গিয়ে প্রতিবেদন প্রদান করেন। গতকাল (বৃহস্পতিবার) চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ে প্রতিবেদনটি পাঠানো হয়।

তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, তদন্ত দল চট্টগ্রামের ১৫ উপজেলার ৫ বছরের ডায়রিয়া আক্রান্ত ভর্তি রোগীর সংখ্যার তুলনামূলক বিশ্লেষণের পাশাপাশি চমেক হাসপাতাল ও বিআইটিআইডিতে ভর্তি রোগীদের তথ্য নেন। প্রাথমিকভাবে তারা ২৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করেন। এসব নমুনার কালচার ও সেনসিটিভিটি পরীক্ষার জন্য আইইডিসিআর পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়। এতে ৬ জনের কলেরা নিশ্চিত করা হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সিটি কর্পোরেশনে আক্রান্ত রোগীদের ৫২ শতাংশ নারী। যাদের ৬২ শতাংশই ১৫ থেকে ৪০ বছর বয়সী। তাদের খাবার পানির প্রধান উৎস ছিল ওয়াসার পানি (৫৪ শতাংশ)। এছাড়া উপজেলা পর্যায়ের রোগীদের ৫৭ শতাংশ ছিল পুরুষ। যাদের ৪৫ শতাংশ ছিল ১৫ থেকে ৪০ বছর বয়সী। এদের ৫৭ শতাংশের খাবার পানির প্রধান উৎস ছিল ডিপ টিউবওয়েল। তাদের মাত্র ১৬ শতাংশ পানি বিশুদ্ধকরণ পদ্ধতি অবলম্বন করে থাকেন।

এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন মোহাম্মদ ইলিয়াছ হোসেন বলেন, ‘জলাধারগুলোতে পানি শুকিয়ে যাওয়ায় ডায়রিয়া পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছিল। এখন পানি বেড়েছে। তাই পরিস্থিতি উন্নত হচ্ছে। আইইডিসিআর’র প্রতিবেদন হাতে পেয়েছি। তাদের পরামর্শ অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

 

পূর্বকোণ/সাফা/পারভেজ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট