একটি মেধাবী জাতি তৈরি করতে সুষম খাদ্য দুধের কোনো বিকল্প নেই। শিশু থেকে বয়োবৃদ্ধ সব মানুষের জন্য দুধের প্রয়োজন। চট্টগ্রাম জেলায় দৈনিক ১ হাজার ৯১৭ টন এবং বছরে সাত লক্ষ মেট্রিক টন তরল দুধের চাহিদা রয়েছে। এরমধ্যে জেলায় দৈনিক উৎপাদন ১ হাজার ৬৮৪ টন এবং বছরে দুধ উৎপাদন হয় ছয় লাখ ১৫ হাজার মেট্রিক টন। দৈনিক ঘাটতি ২৩৩ টন। এই দুধ বাইরে থেকে সরবরাহ হয়। এই তথ্য জানায় জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর। সংশ্লিষ্ট দপ্তরের তথ্য মতে, দুগ্ধ উৎপাদনে চট্টগ্রাম জেলা লক্ষ্যমাত্রার কাছাকাছি রয়েছে। এটি এতোদিনে সম্ভব হত যদি করোনার ধাক্কা না আসতো। এছাড়াও গত দু’বছরে গরুর দানাদার খাবারের দাম প্রায় দ্বিগুণ বেড়েছে। এতে অনেক উদ্যোক্তা আয়ব্যয়ের ভারসাম্য রাখতে না পেরে খামার বন্ধ করেছে।
বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ দপ্তরের পরিচালক ডা. এ কে এম হুমায়ন কবির বলেন, চট্টগ্রাম জেলায় দুধের চাহিদা মিঠিয়ে বাইরে সরবরাহ করা যেত। কিন্তু করোনা পরবর্তী সময়ে গরুর খাবারের দাম প্রায় দ্বিগুণ বেড়েছে। করোনার সময়ও অনেক খামার বন্ধ হয়ে গেছে। খাবারের দাম বাড়ার কারণে খামারিরা দুধের ন্যায্যমূল্য পাচ্ছে না। এ কারণে অনেক ছোট ও মাঝারি উদ্যোক্তা খরচ বহন করতে না পেরে খামার বন্ধ করে দিয়েছে। তিনি আরো বলেন, চার থেকে পাঁচ বছর আগে দেশে শিক্ষিত তরুণ-তরুণীরা প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে গরু, ছাগলের খামার দিয়ে স্বাবলম্বী হয়েছেন। কিন্তু এখন তরুণ উদ্যোক্তারা আগ্রহ হারাচ্ছে। তবে কিছু তরুণ উদ্যোক্তা আছে যারা কোরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে খামার তৈরি করেন। এটি আদর্শ খামারের পর্যায়ে পড়ে না।
তিনি আরো জানান, গরুর দানাদার খাবার (ভুট্টা, গম, ভুষি) দাম গত বছরে ছিল ৩৫ টাকা থেকে ৪০ টাকা পর্যন্ত। এখন সেই খাবারের দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। দুধের চাহিদা পূরণ করতে খাবারের দাম কমানো অতি প্রয়োজন। মৌসুমি খামারির চেয়ে স্থায়ী খামারি তৈরির প্রতি জোর দিতে হবে।
পূর্বকোণ/পিআর