চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে শ্যালিকা হত্যার মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি মো. শাহ পরানকে (৩২) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। গ্রেপ্তার শাহ পরান ফটিকছড়ি উপজেলার ভূজপুর পূর্ব হাসনাবাদ এলাকার নুর মোহাম্মদের ছেলে।
১৩ বছর পর শুক্রবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাউজান উপজেলার নোয়াপাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব জানায়, ২০১০ সালের জানুয়ারি মাসে নিহত ফারহানা ইয়াসমিনের বড় বোন দেলোয়ারা বেগমের সঙ্গে শাহ পরানের বিয়ে হয়। আর্থিক অনটন এবং পারিবারিক নানা বিষয়ে বিয়ের পর থেকে তাদের মধ্যে ঝগড়া হতো। নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে এক পর্যায়ে স্বামীকে তালাক দিয়ে বাবার বাড়ি চলে যান দেলোয়ারা। এরপর থেকে শাহ পরান দেলোয়ারাকে হত্যার হুমকি দিতে থাকে।
২০১০ সালে ১ এপ্রিল রাতে দেলোয়ারাকে হত্যার উদ্দেশ্যে তার বাড়িতে যান শাহ পরান। সঙ্গে নিয়ে যান তার ভগ্নীপতি মো. নাসিরকে। দু’জনে ঘুমন্ত দেলোয়ারাকে ছুরিকাঘাত করে। তার চিৎকারে ছোট বোন ফারহানা ঘুম থেকে ওঠে বোনকে বাঁচানোর চেষ্টা করে। একপর্যায়ে ফারহানাকে ছুরিকাঘাত করে অভিযুক্তরা। এতে ঘটনাস্থলেই ফারহানার মৃত্যু হয়।
ওই ঘটনায় ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে দু’জনের বিরুদ্ধে ভূজপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার পর শাহ পরানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। পরবর্তীতে জামিন নিয়ে পালিয়ে যান পরান। পলাতক অবস্থায় ২০১৯ সালের ৯ এপ্রিল চট্টগ্রামের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল আসামি শাহ পরানকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করে।
র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নূরুল আবছার বলেন, প্রায় ১৩ বছর ধরে পলাতক থাকা আসামি শাহ পরানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তাকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
পূর্বকোণ/পিআর/এএইচ