পটিয়ায় আওয়ামী লীগ নেতাকে গাছের সঙ্গে বেঁধে মারধরের ঘটনার একবছর পর এ ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার বিচার শুরু হয়েছে। সোমবার (২২ মে) চট্টগ্রামের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বেগম কামরুন নাহার রুমি মোট ১৭ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন।
অভিযোগপত্রভুক্ত আসামিরা হলেন: চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার হাইদগাঁও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বদরুদ্দিন মোহাম্মদ (বিএম) জসিম ও তার ছেলে মুসফিক উদ্দিন ওয়াসী এবং অনুসারী রবিউল হোসেন রবি, ইন্দ্রজিৎ চৌধুরী লিও, ইকবাল উদ্দিন সাকিব, আবদুল হাকিম, রিমন উদ্দিন চৌধরী, আইয়ুব আলী চৌধরী হিরু, টিটন শীল, মোহাম্মদ রুবেল, মোহাম্মদ সোহেল, হাবিবুর রহমান হাবিব, করিম মোস্তফা, মো. আসিফ, প্রিয়ংকর চৌধুরী, আ ন ম আবদুল্লাহ রানা এবং মো. রুবেল।
রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি জেলা পিপি শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী জানিয়েছেন, দণ্ডবিধির ৩৪২, ৩২৬, ৩০৭, ৫০৬ (২) ও ৩৪ ধারায় অভিযোগপত্রভুক্ত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে আদালত ২৮ জুলাই থেকে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরুর নির্দেশ দিয়েছেন। দুই আসামি শিশু অপরাধী হওয়ায় তাদের মামলার কার্যক্রম আলাদাভাবে শিশু আদালতে চলবে।
২০২২ সালের ২৯ এপ্রিল দুপুরে পটিয়া উপজেলার হাইদগাঁও ইউনিয়নের ব্রাহ্মণঘাটা গ্রামে গাউছিয়া কমিউনিটি সেন্টারের সামনে আওয়ামী লীগ নেতা জিতেন কান্তি গুহকে গাছের সঙ্গে বেঁধে মারধর করা হয়। গাছের সঙ্গে বাঁধা অবস্থায় জিতেনের রক্তাক্ত একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় জিতেনের ভাই তাপস কান্তি গুহ হাইদগাঁও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বদরুদ্দিন মোহাম্মদ (বি এম) জসিমকে প্রধান আসামি করে পটিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন। ঘটনার রাতেই পুলিশ জসিম ও তার ছেলে মুশফিক উদ্দিন ওয়াসিকে গ্রেফতার করে।
পূর্বকোণ/আরআর/পারভেজ