চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের আগেই এক কর্মকর্তা তার ছেলের রেজাল্ট ফেসবুকে প্রকাশ করেছেন। ‘আলহামদুলিল্লাহ’ লিখে ফেসবুকে ওই ফল প্রকাশের পর বিষয়টি নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা চলছে।
গতকাল সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে ছেলের রেজাল্ট নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কশিট শাখার উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ সোহরাওয়ার্দী।
তিনি পোস্টে লিখেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ আমার ছেলে আবীর চৌধুরী চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়েরে এ ইউনিট (সায়েন্স ফ্যাকাল্টি) ভর্তি পরীক্ষায় সম্মিলিত মেধা তালিকায় ১৬৯৬ এবং কোটা তালিকায় ৩য় হয়েছে। সবার কাছে দোয়া প্রার্থী।’ পরে তিনি পোস্টটি ডিলিট করে দেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, চবির ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা শেষ হয় ১৭ মে। ‘এ’ ইউনিটের রেজাল্ট প্রস্তুত হলেও এখনও তা প্রকাশিত হয়নি। পরে ফলাফল প্রকাশ করা হবে। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী রেজাল্ট এখন আইসিটি সেলে পৌঁছেছে এবং ক্রসচেক শেষে তা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। রেজাল্ট প্রকাশের আগেই এই কর্মকর্তা কীভাবে রেজাল্ট জানলেন, তা নিয়ে শুরু হয়েছে সমালোচনা।
এ বিষয়ে মোহাম্মদ সোহরাওয়ার্দী বলেন, ‘খবরটি উড়ো ছিল। আমার ছেলেকে তার বন্ধু বলেছিল, সে নাকি এমন রেজাল্ট করেছে। আমি ভেবেছি হয়তো ওয়েবসাইটে রেজাল্ট প্রকাশিত হয়েছে সেখান থেকে জেনেছে। আমি নিজেও দেখার চেষ্টা করেছি, ভেবেছি সার্ভার ডিস্টার্ব করছে। তাই পোস্ট করেছিলাম। পরে বিষয়টি সত্য নই জেনে পোস্ট ডিলিট করেছি।’
চবির আইসিটি সেলের পরিচালক অধ্যাপক খাইরুল ইসলাম বলেন, ‘তিনি কীভাবে রেজাল্ট জেনেছেন, সেটা আমরা জানি না। আমাদের আইসিটি সেল থেকে কখনোই কাউকে রেজাল্ট বলা হয় না। আমরা রেজাল্ট পাওয়ার পর ক্রসচেক করে ওয়েবসাইটে প্রকাশ করি। এই বিষয়ে আপনি ইউনিট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেন।’
‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার জয়েন্ট কো-অর্ডিনেটর ও ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন অধ্যাপক রাশেদ মোস্তফা বলেন, ‘ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার আগে জানতে পারার কথা না। তিনি কীভাবে জানতে পারলেন, এ বিষয়ে আমি জানি না।’
চবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক মুস্তাফিজুর রহমান ছিদ্দিকী বলেন, ‘আমি বিষয়টি নিয়ে অবগত নই। কীভাবে কী হয়েছে। তবে ফলাফল প্রকাশের আগে কেউ তা জানতে পারে না। এটা উচিত নয়। এটা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষাকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে।’
পূর্বকোণ/এ