চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর, ২০২৪

সর্বশেষ:

দুই এলএনজি টার্মিনাল থেকে গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক

নিজস্ব প্রতিবেদক

২১ মে, ২০২৩ | ১১:৪৫ পূর্বাহ্ণ

এক সপ্তাহ পর মহেশখালীর দুটি এলএনজি টার্মিনাল থেকে গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক হয়েছে। গতকাল শনিবার এক্সিলেটর এনার্জির মালিকানাধীন এলএনজি টার্মিনালটি চালু করা হয়। এরমধ্য দিয়ে মহেশখালীতে থাকা সামিট এবং এক্সিলেটর এনার্জির মালিকানাধীন দুটি টার্মিনালই চালু হলো। ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’র কারণে গত ১২ মে রাত ১১টা থেকে এই দুই টার্মিনাল বন্ধ করে দেওয়া হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (কেজিডিসিএল) মহাব্যবস্থাপক (অপারেশন্স) আমিনুর রহমান। তিনি পূর্বকোণকে বলেন, শনিবার এক্সিলেটর এনার্জির মালিকানাধীন এলএনজি টার্মিনাল চালু করা হয়। এদিন সামিট ও এক্সিলেটর এনার্জির মালিকানাধীন দুটি টার্মিনাল থেকে প্রায় ৯০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস গ্রিডে সরবরাহ করা হয়েছে।

আমিনুর রহমান বলেন, গ্রিডে দেওয়া ৯০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের মধ্যে শনিবার চট্টগ্রামে প্রায় ২৫০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হয়েছে। রবিবার ৩০০ মিলিয়ন ঘনফুটের বেশি গ্যাস চট্টগ্রামে সরবরাহ করা হবে বলে আমরা আশা করছি। এই পরিমাণ গ্যাস পাওয়া গেলে চট্টগ্রামে গ্যাসের সংকট থাকবে না। সব শ্রেণির গ্রাহক চাহিদা অনুযায়ী গ্যাস পাবেন।

দেশে গ্যাসের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় ৩০ শতাংশেরও বেশি চাহিদা পূরণ করা হয় এলএনজি আমদানি করে। আমদানি করা এসব এলএনজি মূল ভূখণ্ডে নিয়ে আসার জন্য মহেশখালীর অদূরে দুটি ভাসমান টার্মিনাল স্থাপন করা হয়। ঘূর্ণিঝড় ‘মোখার’ প্রভাবে সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে গত ১২ মে রাত ১১টার পর টার্মিনাল দুটি থেকে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়। এতে গ্রিডে দৈনিক গড়ে ৭০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। এলএনজি টার্মিনাল থেকে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পরদিন ১৩ মে থেকে পুরোপুরি এলএনজি নির্ভর চট্টগ্রামে গ্যাসের সরবরাহ কমে আসে। ১৪ মে থেকে গ্যাসের তীব্র সংকট দেখা দেয়। বাসা-বাড়িতে রান্নায় ভোগান্তিতে পড়তে হয় রাঁধুনীদের। ফিলিং স্টেশনগুলোর গ্যাস না পেয়ে গ্যাস চালিত গণপরিবহন চলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। হোটেল-রেস্তোরাঁয় খাবারের দামে, গণপরিবহন ভাড়ায়, সিলিন্ডার বিক্রিতে নৈরাজ্য দেখা দেয়।

ঘূর্ণিঝড় ‘মোখার’ প্রভাবে তেমন ক্ষয়-ক্ষতি না হওয়ায় ১৫ মে থেকে মহেশখালীতে থাকা সামিটের মালিকানাধীন এলএনজি টার্মিনাল থেকে গ্যাস সরবরাহ শুরু হয়। ওইদিন সন্ধ্যায় ২৮০ মিলিয়ন ঘনফুট এলএনজি সরবরাহ করা হয় গ্রিডে। ফলে ১৫ মে থেকেই চট্টগ্রামে গ্যাসের সংকট কিছুটা কমে আসে। সামিটের এলএনজি টার্মিনাল চালু হলেও এক্সিলারেট এনার্জির মালিকানাধীন টার্মিনালটি চালু না হাওয়ায় গ্যাসের সংকট থেকেই যায়।

শিল্প প্রতিষ্ঠান, বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং সার কারখানায় চাহিদা অনুযায়ী গ্যাস না পেয়ে গত এক সপ্তাহ ধরে ক্ষোভ জানিয়ে আসছিলেন চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীরা। এরমধ্যেই গতকাল শনিবার এক্সিলারেট এনার্জির মালিকানাধীন টার্মিনালটি চালুর খবর দেওয়া হয়। সামিট ও এক্সিলারেট এনার্জির মালিকানাধীন দুটি টার্মিনাল থেকেই গ্যাস সরবরাহ ফের শুরু হওয়ায় আজ রবিবার থেকে চট্টগ্রামে গ্যাস সংকট কেটে যাবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

পূর্বকোণ/এ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট