চট্টগ্রাম শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪

সর্বশেষ:

ওসিকে কনুই দিয়ে ধাক্কা মারার সত্যতা মিলেছে

নিজস্ব প্রতিবেদক

৫ মে, ২০২৩ | ১২:২৪ অপরাহ্ণ

শিক্ষা উপ-মন্ত্রীর অনুষ্ঠানে এএসআই সন্তু শীল কনুই দিয়ে ধাক্কা মেরে আহত করেছেন কোতোয়ালী থানার ওসিকে।

নগর পুলিশ কমিশনারের কাছে এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ করেছিলেন চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালী থানার পরিদর্শক (ওসি) জাহিদুল কবীর। বিষয়টি তদন্ত করতে কাউন্টার টেরোরিজমের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) আসিফ মহিউদ্দিনকে নির্দেশ দিয়েছিলেন পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়।

তদন্তে ওসির অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। গত বুধবার সিএমপি কমিশনারের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন এডিসি আসিফ মহিউদ্দিন।

এ ব্যাপারে পরবর্তী কার্যক্রম নিতে প্রতিবেদনটি নগর বিশেষ শাখার উপ-কমিশনারের (ডিসি-সিটিএসবি) কাছে পাঠানো হয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে নগর বিশেষ শাখার ডিসি ডা. মো. মনজুর মোর্শেদ জানান, ওসির অভিযোগের তদন্তে প্রাথমিকভাবে সত্যতা পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে পরবর্তী কার্যক্রম চলমান আছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুলিশের একজন কর্মকর্তা জানান, এ ধরনের অভিযোগে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেলে পরবর্তীতে কার্যক্রমে ওই পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়। বিভাগীয় মামলার তদন্তে বিধি অনুযায়ী শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

উল্লেখ্য, গত ২০ এপ্রিল দুপুরে চট্টগ্রাম-৮ (কোতোয়ালী-বাকলিয়া) আসনের সংসদ সদস্য ও শিক্ষা উপ-মন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল নির্বাচনী এলাকা পাথরঘাটা ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পুলক খাস্তগীরের ঈদ উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন। উপ-মন্ত্রীকে বহনকারী গাড়ির সামনে ছিল প্রটোকলের গাড়ি, এর আগে ছিল ওসি জাহিদুল কবীরের গাড়ি। পাথরঘাটার নজু মিয়া লেনের মুখে গাড়ি থামার পর গাড়ি থেকে নেমে হেঁটে অনুষ্ঠানস্থলে যাচ্ছিলেন নওফেল। পেছনে ছিলেন দেহরক্ষী সন্তু। নওফেলের পাশে ছিলেন ওসি।

হঠাৎ এএসআই সন্তু পেছন থেকে এগিয়ে বাম হাতের কনুই দিয়ে ওসিকে ধাক্কা দিয়ে নওফেলের পাশে চলে যান বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ধাক্কা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ওসি জাহিদুল দাঁড়িয়ে যান। তিনি উপ-মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে এ বিষয়ে অভিযোগ করলে ওসি জাহিদুল ও এএসআইয়ের সঙ্গে তর্ক-বিতর্ক হয়।
থানায় গিয়ে এএসআই সন্তু শীলের বিরুদ্ধে অনলাইনে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এরপর ওসি জাহিদুল কবীর সিএমপি কমিশনারের কার্যালয়ে গিয়ে লিখিত অভিযোগ দেন। এর পর পরই এএসআই সন্তু শীলকে ক্লোজড করে নগর পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়। পুলিশ লাইনে সংযুক্ত থাকা অবস্থায় গত ২ মে সন্তু শীলকে খুলনা রেঞ্জে বদলির আদেশ দেওয়া হয় পুলিশ সদর দপ্তর থেকে। পুলিশ সদর দপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক (পার্সোনাল ম্যানেজমেন্ট-২) মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক আদেশে তাকে বদলি করা হয়।

আদেশে বলা হয়েছে, আগামী ৬ মে’র মধ্যে সিএমপি না ছাড়লে ৭ মে থেকে তিনি তাৎক্ষণিক অবমুক্ত (স্ট্যান্ড রিলিজ) বলে গণ্য হবেন।

জানতে চাইলে সিএমপির উপ-কমিশনার (সদর) মো. আবদুল ওয়ারীশ জানান, এএসআই সন্তু শীলকে সদর দপ্তরের প্রশাসনকি আদেশে খুলনা রেঞ্জে বদলি করা হয়েছে।

 

পূর্বকোণ/নাজিম/এএইচ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট