চট্টগ্রাম শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪

সর্বশেষ:

চকবাজারে মুরগির মাংস মিলছে পিস হিসেবে

নিজস্ব প্রতিবেদক

২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ | ১২:১০ অপরাহ্ণ

সংকটের দোহাই দিয়ে ১৫০ টাকা কেজি ফার্মের মুরগি এক লাফে গিয়ে ঠেকেছে ২২০ টাকায়। এতে কোণঠাসা ক্রেতারা। মুরগি কিনতে বাজারে গেলেও দাম জিজ্ঞেস করে খালি হাতে ফিরছেন অনেকেই। এমন পরিস্থিতিতে নগরীর চকবাজার এলাকার নাসিম মার্কেটের একটি দোকানে কেজির পাশাপাশি পিস হিসেবেও মুরগির মাংস বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছেন কায়ছার আলী চৌধুরী নামে এক ব্যবসায়ী। তার ইচ্ছা সবার সহযোগিতা পেলে চট্টগ্রাম-ঢাকাসহ সারাদেশেই চালু করা যাবে এমন উদ্যোগ।  গতকাল রবিবার দুপুর একটায় চকবাজার এলাকার নাসিম মার্কেটের সেলিম পোলট্রি ফার্মে পিস হিসেবে মুরগির মাংস বিক্রির এই উদ্যোগ আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়েছে। প্রথম দিন জানাজানি না হওয়ায় খুব বেশি সাড়া পড়েনি এই উদ্যোগের। তবে আজ সোমবার থেকে আরও ভালো বিক্রির আশা করছেন দোকানি মোহাম্মদ সেলিম। নিম্নবিত্তদের আর্থিক সংকটের কথা চিন্তা করেই ‘পিস হিসেবে মুরগির মাংস বিক্রি’র এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানান কায়ছার আলী চৌধুরী। তিনি বলেন, এক কেজি মুরগির দাম বর্তমান বাজারে ২২০ টাকা। ওই দোকানটিতে একটি মুরগিকে চারভাগ করে বিক্রি করা হবে। দুইজন লোক এসে যদি বলে- আমাদের দুই ভাগে মুরগির মাংস দেন, সেভাবেও বিক্রি করা হবে। তবে সচ্ছতা নিশ্চিত করা, কিংবা মরা মুরগির মাংস বিক্রি রোধে ক্রেতার সামনেই কাটা হবে এই মুরগি। দামও হবে সেভাবে ভাগ করে। অর্থাৎ একটি মুরগির দাম যদি ৩শ’ টাকা হয়, তবে চার ভাগ করা ওই মুরগির মাংসের প্রত্যেকটি অংশের দাম হবে ৭৫ টাকা।

 

পোলট্রি ফার্মটির মালিকের নাম মোহাম্মদ সেলিম। পূর্বকোণকে তিনি বলেন, সবার তো সামর্থ্য নেই মাছ-মুরগি খাওয়ার। তার উপর মুরগির দাম বেড়ে যাওয়ায় ক্রেতা কমে গেছে অনেক বেশি। কায়ছার আলী চৌধুরীর উদ্যোগে সমর্থন দিয়ে আমার দোকানে পিস হিসেবে মাংস বিক্রি শুরু করেছি। যারাই মুরগির মাংস কিনেছেন, প্রত্যেকেই প্রশংসা করে বলেছেন- খুব ভালো উপকার হয়েছে। কায়ছার আলী চৌধুরী বলেন, প্রতিটি বাজার কমিটি এবং ব্যবসায়ীর সহযোগিতা পেলে এই উদ্যোগকে চট্টগ্রামের পাশাপাশি ঢাকাসহ সারাদেশে ছড়িয়ে দেয়া সম্ভব হবে। প্রাথমিকভাবে আমি শীঘ্রই সশরীরে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও প্রত্যেক কাউন্সিলরদের অনুরোধ জানাব, বাজারের অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে এমন উদ্যোগ চালু করতে সংশ্লিষ্ট বাজার কমিটিকে অনুরোধ করতে। তিনি আরও বলেন, পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতেও মাছ, মাংসসহ বিভিন্ন দামি খাবার বিক্রি হচ্ছে পিস হিসেবে। তাদের এই ভালো গুণকে আমরা চাইলে আমাদের দেশেও প্রতিফলিত করতে পারি। এতে সর্বশ্রেণির মানুষের জন্য উপকার হবে।
পূর্বকোণ/এসি

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট