চট্টগ্রাম রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪

তথ্য সংগ্রহ চলছে ঢিমেতালে

মুহাম্মদ নাজিম উদ্দিন

২৯ জুন, ২০১৯ | ২:৩০ পূর্বাহ্ণ

ভোটার তালিকা হালনাগাদ
হ দুই উপজেলায় নতুন
ভোটার ৪০ হাজার ৭শ
হ নগরীতে তথ্য সংগ্রহ
২১ আগস্ট থেকে

ভোটার তালিকা হালনাগাদে সীতাকু- ও মিরসরাই উপজেলায় নতুন ভোটার অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন ৪০ হাজার ৭৫৩ জন। শেষ হচ্ছে লোহাগাড়া ও আনোয়ারা উপজেলার কার্যক্রম। চলতি বছরের ২৩ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া এই হালনাগাদ কার্যক্রম শেষ হবে নভেম্বর মাসে।
অভিযোগ রয়েছে, বাড়ি বাড়ি গিয়ে সম্ভাব্য ভোটারের নাম অন্তর্ভুক্ত করার কথা থাকলেও এক জায়গায় বসে তথ্য সংগ্রহ করেছেন তথ্য সংগ্রহকারীরা। কোন একটি বিশেষ এলাকায় বসে তথ্য সংগ্রহের কার্যক্রম শেষ করেছেন। এছাড়াও প্রচার-প্রচারণার অভাবে অনেকেই নতুন ভোটার হওয়া বা হালনাগাদ কার্যক্রমের বিষয়ে অবগত ছিলেন না। বিভিন্ন উপজেলায় খোঁজ নিয়ে এই তথ্য পাওয়া যায়।
সিনিয়র জেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্র জানায়, গত ২৩ এপ্রিল সারাদেশের সঙ্গে চট্টগ্রামেও ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম শুরু হয়। জেলার ১৫ উপজেলা ও নগরীর ছয় থানায় আট মাস ধরে এই কার্যক্রম চলবে। ইতিমধ্যেই সীতাকু- ও মিরসরাই উপজেলার হালনাগাদ কার্যক্রম শেষ হয়েছে। গতকাল শুক্রবার শেষ হয়েছে লোহাগাড়া উপজেলার কার্যক্রম। ১ জুলাই থেকে হচ্ছে আনোয়ারা উপজেলার রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম।
মিরসরাই ও সীতাকু- উপজেলায় তথ্য সংগ্রহ শুরু হয় ২৩ এপ্রিল। শেষ হয় ১৩ মে। তথ্য সংগ্রহ ও যাচাই-বাছাই শেষে জুন মাসে রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম শেষ হয়। এতে দেখা যায়, সীতাকু- উপজেলায় নতুন ভোটার অন্তর্ভুক্ত হন ১৫ হাজার ৭ জন। এই উপজেলার বর্তমান ভোটার হচ্ছেন দুই লাখ ৯১ হাজার ৫৫৮ জন। মিরসরাই উপজেলায় নতুন ভোটার অন্তর্ভুক্ত হন ২৫ হাজার ৭৪৬ জন। এই উপজেলায় বর্তমান ভোটার তিন লাখ ১৫ হাজার ৪২ জন।
চট্টগ্রাম সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মুনীর হোসাইন খান বলেন, বর্তমান ভোটার তালিকার সম্ভাব্য ১০ শতাংশ হারে হালনাগাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে রোহিঙ্গাদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তের বিষয়ে চট্টগ্রামের দক্ষিণ জেলার সবকটি উপজেলাকে বিশেষ এলাকা ঘোষণা করা হয়েছে। রোহিঙ্গারা যাতে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হতে না পারেন, সেই বিষয়ে বিশেষ সতর্কতা ও নজরদারি রাখা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, ভোটার তালিকা একটি চলমান প্রক্রিয়া। যেকোন সময়ে নির্বাচন কার্যালয়ে ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করার সুযোগ রয়েছে।
লোহাগাড়া উপজেলার হালনাগাদ কার্যক্রম শেষ হয়েছে গতকাল। ২৩ এপ্রিল তথ্য সংগ্রহ কার্যক্রম শুরু হয়ে শেষ হয়েছে ১৩ মে। এই উপজেলার বর্তমান ভোটার হচ্ছেন এক লাখ ৯০ হাজার ৪৭২ জন। আনোয়ারা উপজেলার হালনাগাদ কার্যক্রম শেষ হবে ১ জুলাই। এই উপজেলার বর্তমান ভোটার হচ্ছেন এক লাখ ৯৮ হাজার ৬৮৫ জন। চন্দনাইশ উপজেলার হালনাগাদ কার্যক্রম শেষ হবে ১২ জুলাই। এই উপজেলার বর্তমান ভোটার হচ্ছেন এক লাখ ৬৩ হাজার ২০৫ জন। কর্ণফুলী উপজেলার রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম শেষ হবে ১ জুলাই। এই উপজেলার বর্তমান ভোটার হচ্ছেন এক লাখ ১১ হাজার ৭৮১ জন। ফটিকছড়ি উপজেলার তথ্য সংগ্রহ কার্যক্রম শেষ হয়েছে ২১ জুন। রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম চলবে ১ জুলাই থেকে ৩ আগস্ট পর্যন্ত। এই উপজেলার বর্তমান ভোটার হচ্ছেন তিন লাখ ৭৬ হাজার ৫৮৬ জন। রাউজান উপজেলার তথ্য সংগ্রহ কার্যক্রম শেষ হয়েছে ৩০ জুন। রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম চলবে ৪ জুলাই থেকে ২ আগস্ট পর্যন্ত। এই উপজেলার বর্তমান ভোটার হচ্ছেন দুই লাখ ৭০ হাজার ৮৮৪ জন। রাঙ্গুনিয়া উপজেলার তথ্য সংগ্রহ কার্যক্রম শেষ হয়েছে ২১ জুন। রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম চলবে ৪ জুলাই থেকে ২৬ জুলাই পর্যন্ত। এই উপজেলার বর্তমান ভোটার হচ্ছেন দুই লাখ ৫৩ হাজার ২৩৬ জন। বাঁশখালী উপজেলার তথ্য সংগ্রহ কার্যক্রম শেষ হবে ২ জুলাই। রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম চলবে ২৯ জুলাই থেকে ৩১ আগস্ট। এই উপজেলার বর্তমান ভোটার হচ্ছেন তিন লাখ তিন হাজার ১২৯ জন। পটিয়া উপজেলার তথ্য সংগ্রহ কার্যক্রম শুরু হয়েছে ১৫ জুন। শেষ হবে ৫ জুলাই। রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম চলবে ৬ আগস্ট থেকে ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। এই উপজেলার বর্তমান ভোটার হচ্ছেন দুই লাখ ৮৬ হাজার ৬৬ জন। সাতকানিয়া উপজেলার তথ্য সংগ্রহ কার্যক্রম শুরু হয়েছে ১৩ জুন। শেষ হবে ৩ জুলাই। রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম চলবে ৫ আগস্ট থেকে ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। এই উপজেলার বর্তমান ভোটার হচ্ছেন দুই লাখ ৮৩ হাজার ৬৪৯ জন। বোয়ালখালী উপজেলার তথ্য সংগ্রহ কার্যক্রম ১ জুলাই শুরু হয়ে শেষ হবে ২১ জুলাই পর্যন্ত। রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম চলবে ৩ সেপ্টেম্বর থেকে ১৮ সেপ্টেম্বর। এই উপজেলার বর্তমান ভোটার হচ্ছেন এক লাখ ৮০ হাজার ২৬৫ জন। সন্দ্বীপ উপজেলার তথ্য সংগ্রহ কার্যক্রম শুরু হবে ১ আগস্ট। চলবে ২৮ আগস্ট পর্যন্ত। রেজিস্ট্রশেন কার্যক্রম চলবে ১০ সেপ্টেম্বর থেকে ২৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। এই উপজেলার বর্তমান ভোটার হচ্ছেন দুই লাখ দুই হাজার ৬৯৫ জন। হাটহাজারী উপজেলার তথ্য সংগ্রহ কার্যক্রম শুরু হবে ১২ সেপ্টেম্বর থেকে। শেষ হবে ২ অক্টোবর। রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম চলবে ১২ অক্টোবর থেকে ৭ নভেম্বর পর্যন্ত। এই উপজেলার বর্তমান ভোটার হচ্ছেন তিন লাখ ৮ হাজার ৪৭ জন।
নগরীর ডবলমুরিং থানায় তথ্য সংগ্রহ কার্যক্রম শুরু হবে ২১ আগস্ট থেকে। শেষ হবে ১১ সেপ্টেম্বর। রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম চলবে ২১ সেপ্টেম্বর থেকে ২৭ অক্টোবর পর্যন্ত। এই বর্তমান ভোটার হচ্ছেন চার লাখ ৭ হাজার ৭১৬ জন। পাঁচলাইশ থানায় তথ্য সংগ্রহ কার্যক্রম শুরু হবে ৩১ আগস্ট থেকে। শেষ হবে ২০ সেপ্টেম্বর। রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম চলবে ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত। এই থানায় বর্তমান ভোটার হচ্ছেন তিন লাখ ৪৪ হাজার ১৪৩ জন। চান্দগাঁও থানায় তথ্য সংগ্রহ কার্যক্রম শুরু হবে ১ অক্টোবর থেকে। শেষ হবে ২২ অক্টোবর। রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম চলবে ৩০ অক্টোবর থেকে ১৭ নভেম্বর পর্যন্ত। এই থানার বর্তমান ভোটার হচ্ছেন তিন লাখ দুই হাজার ৬১৫ জন। বন্দর থানায় তথ্য সংগ্রহ কার্যক্রম চলবে ১ আগস্ট থেকে ২৮ আগস্ট পর্যন্ত। রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম চলবে ৮ সেপ্টেবর থেকে ৯ অক্টোবর পর্যন্ত। এই থানায় বর্তমান ভোটার হচ্ছেন তিন লাখ ৫৫ হাজার ৮৫৬ জন। পাহাড়তলী থানায় তথ্য সংগ্রহ কার্যক্রম শুরু হবে ১ অক্টোবর থেকে। শেষ হবে ২২ অক্টোবর। রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম চলবে ৩ নভেম্বর থেকে ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত। এই থানায় বর্তমান ভোটার হচ্ছেন দুই লাখ ৫২ হাজার ৭১৫ জন। কোতোয়ালী থানায় তথ্য সংগ্রহ কার্যক্রম শুরু হবে ৫ অক্টোবর থেকে। শেষ হবে ২৫ অক্টোবর। রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম চলবে ৫ অক্টোবর থেকে ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত। এই থানায় বর্তমান ভোটার হচ্ছেন দুই লাখ ৩৯ হাজার ৭৬৬ জন।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট