চট্টগ্রাম বুধবার, ১৫ জানুয়ারি, ২০২৫

সর্বশেষ:

চলছে শেষ মুহূর্তের কেনাকাটা

সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে বেচাকেনা

নিজস্ব প্রতিবেদক

৪ জুন, ২০১৯ | ২:৩৩ পূর্বাহ্ণ

আর একদিন পরই পবিত্র ঈদুল ফিতর। শেষ মুহূর্তে কেনাকাটায় জমজমাট শহরের সবগুলো বিপনীবিতান। কেনাকাটায় ব্যস্ত সব বয়সী নারী-পুরুষ ও দোকানিরা। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে বেচাকেনা। গতকাল নগরীর টেরিবাজার, রিয়াজউদ্দিন বাজার, নিউ মার্কেট, স্যানমার, জিইসি মোডের সেন্ট্রাল প্লাজা ও জহুর হকার্স মার্কেট ঘুরে দেখা যায় এখনো কেনাকাটা ব্যস্ত ক্রেতারা। ক্লান্তিহীনভাবে কাজ করে যাচ্ছে বিক্রেতারাও। তবে এখন কেনাকাটায় ব্যস্ত নি¤œ আয়ের মানুষজন। সাধ্যের মধ্যে পছন্দের পোশাকটি কেনার চেষ্টায় তারাও। আবার অনেকেই ঈদ কেনাকাটা শেষে নাড়ির টানে ইতোমধ্যে ফিরতে শুরু করেছেন গ্রামে। যারা এখনও রয়ে গেছেন কিংবা নগরীতেই ঈদ উদযাপন করবেন তারা এখন ব্যস্ত শেষ মুহূর্তের কেনাকাটায়। শপিংমলগুলোতে দেশিয় কাপড়ের পাশাপাশি রয়েছে বিদেশি কাপড়ে চাহিদাও। তবে দেশিয় পোশাকের চেয়ে বিদেশি পোশাকগুলোর দাম বেশি বলে অভিযোগ করেন ক্রেতারা। আবার ঈদ উপলক্ষে প্রায় সব কিছুরই দাম বেশি বলে জানান বিক্রেতারা। চকবাজার এলাকার শিক্ষার্থী মো. ইমরান হোসেন রনি বলেন, আমি এক জোড়া জুতো কিনেছি আঠারশ টাকা দিয়ে। ঈদ উপলক্ষে সব কিছুরই দাম অনেক বেশি। যেমন পোশাকের দাম বেশি তেমনি জুতোর দাম অনেক বেশি। তবুও কিনতে হচ্ছে কারণ ঈদের একটা দিনেইতো আনন্দ করা হয়। টেরিবাজারে বিক্রেতারা জামাল বলেন, বর্তমানে বেচাকেনা ভালো হচ্ছে। মার্কেটগুলোতে নিরাপত্তার ব্যবস্থা জোরদার করায় সন্তুষ্ট তারাও। শুধু পোশাক নয়। পাশাপাশি প্রসাধনী ও জুতা-স্যান্ডেলের দোকানগুলোতেও ক্রেতাদের সমান ভিড়। আবার অনেকে ছুটছে দর্জি বাড়ির দিকে। সেলাই করতে দেওয়া পোশাক আনার জন্য। মিমি সুপার মাকের্টের টেইলার আনিস বলেন, দিন রাত চলছে সেলাইয়ের কাজ। নানা রকম পোশাক আমাদেরই তৈরি করতে হয়। ঈদের আগেই সব শেষ করতে হবে। কারণ এসব কাপড় সবাই ঈদের সময় পড়বে। তাই এখন ব্যস্ত আমরা। কথা বলার ফুরসত নেই।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট