
ওসমান হাদির ওপর হামলাকে বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা হিসেবে দেখা হচ্ছে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। দীর্ঘ প্রায় ১৮ বছর পর তারেক রহমানের দেশে ফেরা ও তার নিরাপত্তা বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘সকল রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ যাতে নিরাপদে থাকে, সে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করার জন্য সরকার প্রতি আহ্বান জানিয়েছি আমরা।’
শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ ও মেজর (অব.) হাফিজউদ্দিন আহমদ। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন সালাহউদ্দিন আহমদ।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘নির্বাচনের তফসিল ঘোষিত হয়েছে ১০ তারিখ, তারপর দিনই বাংলাদেশে একজন সম্ভাব্য জাতীয় সংসদ সদস্য পদপ্রার্থীর ওপরে হামলা হলো। হামলার ধরন দেখে বোঝা যায় এটা পেশাদার শ্যুটারের কাজ।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্য অটুট রাখবো। সুদৃঢ় করবো। আমাদের মধ্যে রাজনৈতিক বিতর্ক হতে পারে, সামনে নির্বাচন বিভিন্ন রকমের রাজনৈতিক বিতর্ক হবে কিন্তু আমরা ওই পর্যায়ে বিতর্ক করবো না, যাতে আমাদের ঐক্য বিনষ্ট হয়।’
তিনি জানান, তারেক রহমানের নিরাপত্তা নিয়ে আজ এখানে আলোচনা হয়নি, অবশ্যই বিষয়টা আমাদের জন্য সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। আমরা দলীয়ভাবেও চেষ্টা করবো, সরকারকেও আহ্বান জানাবো যাতে উনার (তারেক জিয়া) নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়।
তিনি বলেন, ‘কোন আশঙ্কাকে উড়িয়ে দিচ্ছি না। তবে, সরকারের দায়িত্ব আছে, রাজনৈতিক দলগুলোর দায়িত্ব আছে। জনগণের সচেতনতা জরুরি।’ এ সময় তিনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, যৌথ বাহিনী, সরকার, জনগণ ও রাজনৈতিক দলগুলোর সম্মিলিত উদ্যোগের ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, ‘ইনশাআল্লাহ এই ধরনের ঘটনা আমরা বন্ধ করতে পারব।’
সালাহউদ্দিন আহমদ আরও বলেন, ‘আমাদের চেতনা হচ্ছে জুলাই-২০২৪ এর গণঅভ্যুত্থানের চেতনা। প্রত্যাশা, জনআকাঙ্ক্ষা এইটাকে আমরা ঊর্ধ্বে তুলে ধরবো। জাতীয় ঐক্য হিসেবে আমরা ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্যকে অুটট রাখবো। এই জায়গায় আমাদের কোন আপস নেই।’
পাশাপাশি তিনি বলেন, ‘পতিত ফ্যাসিবাদকে অবশ্যই আমরা এই বার্তা দিতে চাই, এই জাতীয় কোনো ধরনের হামলা করে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণকে বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না। প্রতিহত করতে পারবে না।’
পূর্বকোণ/পারভেজ