চট্টগ্রাম রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫

সর্বশেষ:

ওয়াসার ভান্ডালজুড়ি প্রকল্পে পাইপ লাইন টেন্ডারের অপেক্ষায়

সিডিএ-কর্ণফুলী হাউজিং

ওয়াসার ভান্ডালজুড়ি প্রকল্পে পাইপ লাইন টেন্ডারের অপেক্ষায়

নিজস্ব প্রতিবেদক

৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ | ১১:৩৫ পূর্বাহ্ণ

কর্ণফুলী নদীর বামতীরে সিডিএ-কর্ণফুলী হাউজিং সোসাইটিতে দীর্ঘদিন ধরে চলমান পানি সংকট অবশেষে নিরসন হতে যাচ্ছে। ভান্ডালজুড়ি প্রকল্প থেকে পানি সরবরাহের জন্য পাইপলাইন স্থাপনে টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। পাইপলাইন স্থাপন শেষ হলে চাহিদা সাপেক্ষে পানি সরবরাহ করা যাবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। এর আগে গত ৩০ জুলাই কর্ণফুলী আবাসিকে ভান্ডালজুড়ি প্রকল্পের পানি সরবরাহের বিষয়ে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) ও কর্ণফুলী আবাসিক প্লট মালিক সমিতির মধ্যে এক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।

 

৩১ বছর ধরে পানির অভাবে ‘মরুভ‚মি’ হয়ে আছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) কর্ণফুলী আবাসিক এলাকা। প্রায় তিন দশক পর সেখানে সম্ভাবনা উঁকি দিতে শুরু করেছে। চট্টগ্রাম ওয়াসার ভান্ডালজুড়ি পানি শোধনাগার থেকে কর্ণফুলী আবাসিকে পানি নিয়ে গেলে এ আবাসিকে জনবসতি গড়ে উঠবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

 

জানতে চাইলে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী নুরুল করিম বলেন, পাইপলাইনের জন্য আমরা ওয়াসাকে ইতোমধ্যে পরিশোধ করেছি। ওয়াসা তাদের কাজ এগিয়ে নিচ্ছে বলে আমাদের জানিয়েছে।

 

চট্টগ্রাম ওয়াসার তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ও ভান্ডালজুড়ি পানি সরবরাহ প্রকল্পের সাবেক পরিচালক মাহবুবুল আলম বলেন, সিডিএ থেকে আমাদের পেমেন্ট করা হয়েছে। পাইপলাইনের টেন্ডার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। সেখানে পাইপলাইন যেতে আরও ছয় মাস পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। এরপর কর্ণফুলী আবাসিকের বাসিন্দারা ওয়াসা থেকে পানি সরবরাহের জন্য অর্থ পরিশোধ করে দরখাস্ত দিলে ওয়াসা ব্যবস্থা নেবে।

 

জানা যায়, ১৯৯৪ সালে কর্ণফুলী নদীর বামতীরে একটি আবাসিক প্রকল্প বাস্তবায়ন করে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)। এই আবাসিকে এখন পর্যন্ত নির্মিত হয়নি একটি ভবনও। দিনদুপুরেও যেখানে যেতে ভয় করে। আবাসিকের ভেতরে নেই কোন সড়কবাতি। সড়কগুলো ভেঙে ইট উঠে গেছে।

 

সাধারণ মানুষের খুব একটা চলাচল নেই। তাই স্থানীয়দের কাছে এটি এখন জঙ্গল হিসেবে পরিচিত। সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানা যায়, শুধুমাত্র পানির অভাবে ভবন মালিকরা এখানে ভবন নির্মাণ করতে আগ্রহী হননি। পানির সংকট কেটে গেলে বিদ্যুৎসহ অন্য সমস্যাও কেটে যাবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

 

পূর্বকোণ/ইবনুর

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট