
অসুস্থ খালেদা জিয়াকে লন্ডনে নিয়ে যাওয়ার জন্য কাতারের আমিরের এয়ার অ্যাম্বুলেন্স বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকায় পৌঁছানোর কথা থাকলেও ‘টেকনিক্যাল সমস্যা’ দেখা দেওয়ায় তা বিলম্বিত হতে পারে।
এদিকে বৃহস্পতিবার রাতেই লন্ডন থেকে দেশের পথে রওনা হচ্ছেন তারেক রহমানের স্ত্রী জুবাইদা রহমান। ঢাকায় নেমে তিনি ওই এয়ার অ্যাম্বুলেলেন্সেই শাশুড়িকে নিয়ে লন্ডনে ফিরবেন।
সব মিলিয়ে খালেদা জিয়ার লন্ডনের উদ্দেশ্যে রওনা হতে শুক্রবার সকাল ১০টা পেরিয়ে যেতে পারে বলে বিএনপি নেতাদের সঙ্গে কথা বলে ধারণা পাওয়া গেছে।
বিএনপি চেয়ারপরসন খালেদা জিয়া গত এগার দিন ধরে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ড বৃহস্পতিবার সিদ্ধান্ত নেয়, উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে যুক্তরাজ্যে নিয়ে যাওয়া হবে।
সেই সিদ্ধান্ত জানিয়ে খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন বৃহস্পতিবার দুপুরে এভারকেয়ারের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, গত জানুয়ারির মত এবারও কাতার আমিরের এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে লন্ডনে নেওয়া হবে।
“আজকে এই মধ্যরাত্রের পরে অথবা আগামীকাল সকালের ভিতর উনাকে ইউকেতে, অর্থাৎ লন্ডনে, একটা নির্ধারিত হসপিটাল আমরা ঠিক করেছি, সেখানে আমরা উনাকে নিয়ে যাব।”
বেশ কয়েকজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এবং বিদেশ থেকে আসা দুইজন চিকিৎসকও এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে খালেদা জিয়ার সঙ্গে থাকবেন বলে সে সময় জানিয়েছিলেন ডা. জাহিদ।
বিকালে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছিলেন, কাতারের আমিরের বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ঢাকায় পৌঁছাবে রাতে।
তবে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় তিনি বলেন, “এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে কিছু টেকনিক্যাল সমস্যা দেখা দিয়েছে, সেটার আসা কিছুটা বিলম্বিত হতে পারে।”
এদিকে খালেদা জিয়াকে নিয়ে যেতে জুবাইদা রহমান দেশে আসছেন বলে আগেই গুঞ্জন শুরু হয়েছিল। বিএনপি মিডিয়া সেলের সদস্য আতিকুর রহমান রুমন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় তিনি বলেন, “ভাবি লন্ডন সময় সন্ধ্যা ৬টায় (বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার রাত ১২টা) বাংলাদেশ বিমানে রওনা হবেন। ওই ফ্লাইট শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টায় ঢাকায় পৌঁছানোর কথা রয়েছে। আবার কাতারের এয়ার অ্যাম্বেুলেন্সে ম্যাডামকে নিয়ে তিনি লন্ডন ফিরে যাবেন।”
সেক্ষেত্রে খালেদা জিয়াকে নিয়ে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের রওনা হতে হতে শুক্রবার সকালে কয়েক ঘণ্টা গড়িয়ে যাবে।
কাতারের আামির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করেই চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি চিকিৎসার জন্য লন্ডনে গিয়েছিলেন খালেদা জিয়া। সেখানে লন্ডন ক্লিনিকে ভর্তি রেখে কিছুদিন তার চিকিৎসা চলে। পরিস্থিতির উন্নতি হলে কিছুদিন লন্ডনে তারেকের বাসায় থেকে চিকিৎসা নেন। অনেকটা সুস্থ হয়ে গত ৬ মে একই এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তিনি দেশে ফিরেছিলেন।
সে সময় তার দুই পুত্র বধু জুবাইদা রহমান (তারেক রহমানের স্ত্রী) এবং সৈয়দা শামিলা রহমান (প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী) এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে শাশুড়ির সঙ্গে আসেন। এক মাস দেশে থেকে গত ৫ জুন লন্ডনে ফিরে যান জুবাইদা।
জুবাইদা নিজেও পেশায় চিকিৎসক। খালেদা জিয়ার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ডেও তিনি আছেন। সূত্র-বিডিনিউজ
পূর্বকোণ/কেএএইচ/এএইচ