
বাড়ি রং করার আড়ালে তথ্য সংগ্রহ করতো আবদুল আলিম শাকিল ও ইয়াছিন আরাফাত শাকিল। তারপর সেই বাড়ির লোকজন কোথাও বেড়াতে গেলে সুযোগ বুঝে জানালার গ্রিল কেটে রাতে চুরি করতো দু’জনে।
গত ৫ নভেম্বর গভীর রাতে হালিশহর থানাধীন গোল্ডেন আবাসিক এলাকার কে-ব্লকের ১ নম্বর সড়কের একটি বাড়ির চতুর্থ তলায় জানালার গ্রিল কেটে বাসায় ডুকে ১১ ভরি স্বর্ণালংকার নগদ ২ লাখ টাকা চুরি করে তারা।
হালিশহর থানার উপ-পরিদর্শক মোশারফ হোসেন আদিব পূর্বকোণ অনলাইনকে জানান, ১১ নভেম্বর হালিশহর থানায় বাসার মালিক ফয়সল আবদুল্লাহ আদনান (৪২) অভিযোগ করলে পুলিশ আসামিদের খোঁজে মাঠে নামে।
গত ১৬ নভেম্বর সিসিটিভি ফুটেজ দেখে চুরি করে যেই রিকশাযোগে আসামিরা পালিয়েছে সেই রিকশা চালক আবু বক্করকে (৪৫) হালিশহর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। ২৪ তারিখ হালিশহর ছোটপুল এলাকা থেকে মূলহোতা আবদুল আলিম শাকিলকে গ্রেপ্তার করে। পরে তার দেওয়া তথ্যানুযায়ী একই দিনে ডবলমুরিং এলাকা থেকে মো.মিয়াকে (৫৩) গ্রেপ্তার করে পুলিশ আবদুল আলিম শাকিল তার কাছে জুয়া খেলার জন্য স্বর্ণ বন্ধক রাখে। দুদিন পর ২৬ নভেম্বর হবিগঞ্জ থেকে আবদুল আলিম শাকিলের সহযোগী ইয়াছিন আরাফাত শাকিলকে গ্রেপ্তার করা হয়। সেদিনই ইয়াছিনের চাচী ববি আক্তারকেও স্বর্ণ বন্ধক রাখার দায়ে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে ১ ডিসেম্বর আবদুল আলিম শাকিলকে তিন দিনের ও ৩ ডিসেম্বর ইয়াছিন আরাফাত শাকিলকে ১ দিনের রিমান্ডে আনে পুলিশ। তাদের দেওয়া তথ্যনুযায়ী মোট সাড়ে সাত ভরি স্বর্ণ ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। গতকাল রিমান্ড শেষে দুই আসামি আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
পূর্বকোণ/আরআর/এএইচ