চট্টগ্রাম শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫

রাঙামাটিতে পাহাড় কাটা বন্ধের নির্দেশ হাইকোর্টের

রাঙামাটিতে পাহাড় কাটা বন্ধের নির্দেশ হাইকোর্টের

নিজস্ব প্রতিবেদক

৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ | ৭:৩৫ অপরাহ্ণ

পাহাড় কেটে রাঙামাটি প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ভবন নির্মাণ কাজ বন্ধের নির্দেশনা দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে অন্য যেকোনো পাহাড় কাটাও বন্ধ করার বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

 

হিউম্যান রাইটস এন্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) করা এক রিট পিটিশনের শুনানি শেষে গতকাল বুধবার এই রায় দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজি ও বিচারপতি রাজিউদ্দিন আহমেদের আদালত এই রায় দেন।

 

আদালত তিন বিষয়ের ওপর চার সপ্তাহের রুল জারি করেছেন। রাঙামাটি জেলার পাহাড় কাটা বন্ধে প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না ও পাহাড় কাটা বন্ধে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না এবং যে পরিমাণ পাহাড় কাটা হয়েছে তা মাটি ভরাট করার কেন নির্দেশ দেয়া হবে না- এ বিষয়ে রুল জারি করেছেন।

 

আদালত অন্তবর্তীকালীন এক আদেশে পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রামের পরিচালক, রাঙামাটির জেলা প্রশাসক (ডিসি), পুলিশ সুপার (এসপি), রাঙামাটি সদর উপজেলার ইউএনও এবং থানার ওসিকে প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়সহ আর কোনো পাহাড় যেন কাটতে না পারে সেই বিষয়ে মনিটরিং টিম গঠন করে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করে তিন মাসের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

 

শুনানিতে এইচ আর পি বি’র পক্ষের সিনিয়র আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, পরিবেশ আইনে পাহাড় কাটার ওপর বিধি নিষেধ রয়েছে। পাহাড় কাটলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থার নির্দেশনা রয়েছে। পরিবেশের অনুমতি ছাড়া প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পাহাড় কেটে পরিবেশ ধ্বংস করছে। রাঙামাটিতে প্রশাসনের সামনে এ কার্যক্রম চললেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। তাই তিনি আদালতের নির্দেশনা প্রার্থনা করেছেন।

 

এইচআরপিবি’র পক্ষে রিট পিটিশন দায়ের করেছেন এডভোকেট মোহাম্মদ সারোয়ার আহাদ চৌধুরী ও এডভোকেট এখলাছ উদ্দিন ভূঁইয়া। রিট আবেদনে পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সচিব, মহাপরিচালক (ডিজি), পরিবেশ অধিদপ্তরের চট্টগ্রামের পরিচালক, রাঙামাটি জেলার ডিসি, এসপি ও সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার, ওসি এবং রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি  বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলরকে (ভিসি) বিবাদী করে এই রিট আবেদন করা হয়েছে।

 

রিট শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। তাকে সহযোগিতা করেন এডভোকেট সঞ্জয় মÐল। সরকারের পক্ষে ছিলেন ডিএজি মেহেদী হাসান।

পূর্বকোণ/এএইচসি

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট