
রাঙামাটি কাপ্তাই উপজেলার রাইখালী ইউনিয়নে পাহাড়ি কৃষি গবেষণা কেন্দ্রে নতুন জাতের সবজি বারি লাউ-৪ উদ্ভাবন করা হয়েছে। অন্যান্য সবজির পাশাপাশি গবেষণা করে প্রথমবারের ন্যায় এবার নতুন সবজি বারি লাউ-৪, চাষ করে কৃষি উন্নয়নে সফলতা লাভ করেছে গবেষণা কেন্দ্রটি। গবেষণা কেন্দ্রের বিশাল এলাকাজুড়ে মাচাংয়ে হাজার, হাজার লাউ শোভা পাচ্ছে।
নতুন উদ্ভাবনী সবজি বারি লাউ-৪, এর প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো এটি তাপ সহনশীল এবং সারা বছর চাষ করা যায়। নতুন জাতের লাউ দেখতে অনেকটা সুন্দর। লাউয়ের গাঢ় সবুজ রঙের গায়ে সাদাটে দাগ আছে। প্রতিটি গাছে অসংখ্য লাউের ফলন হয়। এছাড়া প্রতিটির ওজন প্রায় আড়াই হতে তিন কেজির মত। লম্বা ৪২/৪৬ সে.মি এবং ব্যাস ১২/১৩ এর মত হয়।
কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের তথ্য মতে জানা যায়, চারা রোপণের ৭৯/৮০ দিনের মধ্যে ফলন সংগ্রহ করা যায়, গাছের জীবনকাল প্রায় ১৩০/১৫০ দিনের মত। প্রতি হেক্টরে ফলন হয় ৮০/৮৫ টন এর মত।
রাইখালী কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মুহাম্মদ জিয়াউর রহমান (ভারপ্রাপ্ত) পিএসও পূর্বকোণকে জানান, বারি লাউ-৪, সবজি বাংলাদেশের সকল জায়গায় চাষ করা যায় এবং পাহাড়ি অঞ্চলে এর আবাদ বা ফলন ভাল হয়। বিশেষ করে গ্রীষ্মকালে ফাল্গুনের শেষে আগাম ফসল হিসাবে চাষ করা যায়। এছাড়া বৈশাখ মাসে চারা রোপণও করা সম্ভব।
প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আরও জানান, স্থানীয় পর্যায়ে কৃষক বা উদ্যোক্তা চাইলে কৃষি গবেষণা কেন্দ্রে যোগাযোগ করে বিনামূল্যে চারা বা বীজ সংগ্রহ করতে পারেন।
পূর্বকোণ/ইবনুর