
অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন উপকণ্ঠের ফিলিপ আইল্যান্ডে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের (চমেক) প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের চার দিনব্যাপী পুনর্মিলনী শুরু হয়েছে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ এলামনাই ভিক্টোরিয়ার উদ্যোগে আয়োজিত এই পুনর্মিলনী গত ২১ নভেম্বর থেকে শুরু হয়। এতে অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন শহর ছাড়াও বাংলাদেশ, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, নিউজিল্যান্ড, মালয়েশিয়া ও নেদারল্যান্ড প্রবাসী চমেকের ৫ম থেকে ৫৩তম ব্যাচের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা যোগ দেন।
‘স্মৃতির সাম্পান ভিড়ে দখিন সাগরের তীরে’ এই ভাববিষয়ভিত্তিক পুনর্মিলনীর প্রথম দিনের বিষয় ছিল ‘স্মৃতির সাম্পান’। উদ্বোধনী অধিবেশন শুরু হয় চমেকের প্রাক্তন ছাত্র ও একুশে পদকপ্রাপ্ত শিশুশল্যবিদ অধ্যাপক কাজী কামরুজ্জামান প্রদত্ত ‘শাহ আলম বীর উত্তম স্মারক বক্তৃতা’র মাধ্যমে। এরপর ছিল অংশগ্রহণকারী প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পরিচিতি ও স্মৃতিচারণ। দ্বিতীয় দিন ২২ নভেম্বর সকালে ছিল বৈজ্ঞানিক অধিবেশন ও প্রাক্তন ছাত্র অধ্যাপক ইমরান বিন ইউনুস প্রদত্ত ‘রিদওয়ানুর রহমান স্মারক বক্তৃতা’। সন্ধ্যার অধিবেশনে ছিল প্রাক্তনী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের অংশগ্রহণে প্রাণবন্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ‘হৃদয় স্পন্দনে আনন্দ বন্ধনে’।
এই দিন মুক্তিযুদ্ধে অবদান ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবায় বিশেষ ভূমিকার জন্য অধ্যাপক কাজী কামরুজ্জামান, চিকিৎসা শিক্ষায় ও চমেকের শিক্ষার্থীদের মৈত্রীর বন্ধনে বিশেষ অবদানের জন্য অধ্যাপক ইমরান বিন ইউনুস এবং সমাজকর্মের জন্য অধ্যাপক পারভেজ করিমকে ‘স্পিরিট অব সিএমসি’ সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। তৃতীয় দিন ২৩ নভেম্বর সকালের পর্বে ছিল ‘সীল দর্শন সমুদ্রবিহার’। সন্ধ্যায় ক্যাম্পাস জীবনের তিন প্রখ্যাত শিল্পী হিউবার্ট ডিক্রুজ, শিমুল দাশ এবং জাভেদ মাহমুদ পাভেলের পরিবেশনায় ছিল মনোজ্ঞ সংগীতানুষ্ঠান ‘জীবনের গল্প এসো বলি অল্প’। অনুষ্ঠানটি আগত প্রাক্তনীদের মন্ত্রমুগ্ধ করে রাখে। আজ ২৪ নভেম্বর সকালে প্রাতঃরাশ ও অনানুষ্ঠানিক বিদায় পর্বের মাধ্যমে এই প্রাণবন্ত মিলনমেলার সমাপনী টানা হচ্ছে।