চট্টগ্রাম শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫

সর্বশেষ:

বিদেশ থেকেই যুবদল নেতা কিবরিয়াকে হত্যার নির্দেশ, খুন করে ভাড়াটে সন্ত্রাসীরা

অনলাইন ডেস্ক

১৯ নভেম্বর, ২০২৫ | ১১:০১ পূর্বাহ্ণ

ঢাকার মিরপুরের পল্লবীতে যুবদল নেতা গোলাম কিবরিয়াকে গুলি করে হত্যার পেছনে এলাকায় দীর্ঘদিনের প্রভাব বিস্তারকারী এক শীর্ষসন্ত্রাসীর সম্পৃক্ততার ইঙ্গিত মিলেছে।

তদন্তে যুক্ত পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, পলাতক আসামি মফিজুর রহমান ওরফে মামুন বিদেশে বসে আধিপত্য ও লেনদেনের বিরোধ থেকে ভাড়াটে সন্ত্রাসীদের দিয়ে কিবরিয়াকে হত্যা করান।

এলাকার বেশ কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে মামুনের পক্ষে চাঁদাবাজির ঘটনা বেড়েছে। স্থানীয় বিএনপি নেতাদের দাবি, মামুন এলাকায় নিজের জন্য প্রভাব তৈরি করতে কিবরিয়াকে ব্যবহার করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু কিবরিয়া রাজি না হওয়ায় তাঁর প্রতি ক্ষোভ বাড়ে।

৪৭ বছর বয়সী কিবরিয়া পল্লবী থানা যুবদলের সদস্যসচিব ছিলেন। তিনি চিকিৎসা সরঞ্জাম কিনে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সরবরাহ করতেন। সোমবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে মুখোশধারী তিন সন্ত্রাসী মিরপুর ১২ নম্বরের বি ব্লকে ‘বিক্রমপুর হার্ডওয়্যার অ্যান্ড স্যানিটারি’ দোকানে ঢুকে খুব কাছ থেকে গুলি করে তাঁকে হত্যা করে।

গুলির পর দুর্বৃত্তরা পালাতে গিয়ে একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় ওঠে। চালক দ্রুত গাড়ি না চালানোয় তারা চালক আরিফ হোসেনের কোমরে গুলি করে। স্থানীয় লোকজন তখনই জনি ভূঁইয়া নামের একজনকে আটক করে পুলিশে দেয়। পুলিশ জানায়, জনি ও আরও কয়েকজন ভাড়ায় খুন করতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিল। বাকি দুজন শনাক্ত হয়েছে।

হত্যার ঘটনায় কিবরিয়ার স্ত্রী সাবিহা আক্তার ওরফে দীনা পল্লবী থানায় মামলা করেন। জনিসহ পাঁচজনের নাম মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে—সোহেল ওরফে পাতা সোহেল ওরফে মনির হোসেন (৩০), সোহাগ ওরফে কালু (২৭), মাসুম ওরফে ভাগিনা মাসুম (২৮) ও রোকন (৩০)। আরও সাত-আটজন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিকেও জড়িত বলা হয়েছে।

মিরপুর বিভাগের উপকমিশনার মোহাম্মদ মাকছুদের রহমান বলেন, আটক জনি ভূঁইয়া হত্যাকাণ্ডে অংশ নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, কিবরিয়াকে হত্যা করতে তাদের ভাড়া করা হয়েছিল। নেপথ্যের ব্যক্তিদেরও শনাক্ত করা হয়েছে।

তদন্তসংশ্লিষ্ট একাধিক কর্মকর্তা জানান, মামুন মালয়েশিয়া আর তার ভাই মশি ভারতে পালিয়ে আছেন। সম্প্রতি মামুন এলাকা ও মাদক ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ তার লোকদের হাতে দিতে নির্দেশ দেন। কিন্তু কিবরিয়া এতে রাজি ছিলেন না। পাশাপাশি মামুনের পাওনা টাকা পরিশোধে টালবাহানা নিয়েও বিরোধ তৈরি হয়। একটি অনলাইন বার্তা সংস্থার খবর

পূর্বকোণ/এএইচ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট