
নারী পুরুষ সবার মাথায় সাদা পট্টি। কিছু মানুষ কাপনের কাপড় পড়ে আছে। রাস্তায় অবস্থান করছে উপজাতি বাঙালি ৫/৬ হাজার নারী পুরুষ। আন্দোলনকারীরা জানায়, যে কোনভাবে প্রতিহত করতে হবে পরিবেশ অধিদপ্তরের স্পেশাল টিমকে।
লামার ফাইতং ইউনিয়নে ইটভাটায় প্রশাসনের অভিযানের খবর পেয়ে বাঁধা দিতে তৃতীয় দিনের মত রাস্তায় নেমেছে স্থানীয় জনতা। মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) সকাল থেকে ফাইতং বাজারে চলছে অবস্থান কর্মসূচি।
অবস্থান কর্মসূচিতে উপস্থিত জনতারা বলেন, বিকল্প কর্মসংস্থান সৃষ্টি না করে ইটভাটা ভাঙতে দেয়া হবে না। তাদের লাশের উপর দিয়ে গিয়ে ইটভাটা ভাঙতে হবে। তারা প্রশাসনকে ইটভাটা না ভাঙতে অনুরোধ করে।
ফাইতং ইউপি চেয়ারম্যান ওমর ফারুক বলেন, সকাল থেকে কাপনের কাপড়, ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে ৫/৬ হাজার মানুষ ফাইতং বাজারে অবস্থান করছে।
পরিবেশ অধিদপ্তর ও প্রশাসন কর্তৃক ইটভাটা বন্ধের অভিযানে বাঁধা দেওয়ায় লামা থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) চট্টগ্রাম মহানগরীর যুগ্ম সমন্বয়কারী এরফানুল হকসহ ১১ জনের নাম উল্লেখ করে পরিবেশ অধিদপ্তর বান্দরবানের উপ-পরিদর্শক মোহাম্মদ নুর উদ্দিন এ মামলা দায়ের করেন।
প্রসঙ্গত, গত রবিবার (১৬ নভেম্বর) লামা উপজেলার ফাইতং ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় পরিবেশ অধিদপ্তরের সদর দপ্তর থেকে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট রেজুয়ান উল ইসলামের নেতৃত্বে অবৈধ ইটভাটা ও পাহাড় কাটাসহ পরিবেশ ধ্বংসের বিরুদ্ধে অভিযান করেন। ওই সময় ইটভাটা মালিকপক্ষের লোকজন রাস্তা অবরোধ করে মানববন্ধন করেন। ওইদিন প্রতিবাদকারী শ্রমিকরা অভিযানিক দলের গাড়ি বহরের সামনে কাফনের কাপড় গায়ে জড়িয়ে সড়কে শুয়ে প্রতিবাদ করে।
বান্দরবান পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক রেজাউল করিম বলেন, পরিবেশ অধিদপ্তর ও প্রশাসনের বিশেষ টিমকে বাঁধাদানকারীদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিচ্ছি।
আজ মঙ্গলবার পরিবেশ অধিদপ্তর ও প্রশানের বিশেষ টিমের চলমান অভিযানের বিরুদ্ধে ইটভাটার স্থানীয় পাহাড়ি বাঙালি কয়েক’শ মানুষ ও শ্রমিকরা ফাইতং বাজারে অবস্থান নেয়। সরকার বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা না করে শ্রমিকদের চলমান কাজ বন্ধ করার বিরুদ্ধে শ্রমিকরা স্লোগান দেন।
অপরদিকে, লামার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ইয়াংছা হতে কাঁঠালছড়া রাস্তায় স্থানীয় সহস্রাধিক নারী পুরুষ কাঁঠালছড়া এলাকার ২টি ইটভাটা রক্ষায় অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে।
পূর্বকোণ/পিআর/এএইচ