
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের নতুন ৫২টি সেবা খাতের মধ্যে ২৩টিতে গড়ে ৪১ শতাংশ পর্যন্ত মাশুল আদায় নিয়ে গত ৩০ সেপ্টেম্বরের সিদ্ধান্তের কার্যক্রম এক মাসের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি কাজী জিনাত হক ও বিচারপতি আইনুন নাহার সিদ্দিকার হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ রবিবার (৯ নভেম্বর) রুলসহ এই আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মহিউদ্দিন আবদুল কাদির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নূর মুহাম্মদ আজমী। আইনজীবী মহিউদ্দিন আবদুল কাদির কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘স্থগিতাদেশের কারণে বর্ধিত হারে মাসুল আদাযয়ের কার্যক্রম এক মাস বন্ধ থাকবে।’
৫২টি সেবা খাতের মধ্যে ২৩টিতে গড়ে ৪১ শতাংশ পর্যন্ত মাসুল বাড়িয়ে গত ১৪ সেপ্টেম্বর সংবিধিবদ্ধ নিয়ন্ত্রক আদেশ (প্রজ্ঞাপন) জারি করে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ।
সবচেয়ে বেশি মাসুল বাড়ানো হয় কনটেইনার পরিবহন খাতে। প্রতি ২০ ফুট কনটেইনারে গড়ে মাসুল ১১ হাজার ৮৪৯ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৬ হাজার ২৪৩ টাকা করা হয়; বৃদ্ধির হার প্রায় ৩৭ শতাংশ। ডলারের বিনিময়মূল্য ১১২ টাকা ধরে তা বাড়ানো হয়। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ডলারের দাম বাড়লে মাসুলও স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাড়ানো হবে।
পরে ব্যবসায়ীদের আপত্তির মুখে গত ২০ সেপ্টেম্বর ওই প্রজ্ঞাপন এক মাসের জন্য স্থগিত করা হয়। গত ৩০ সেপ্টেম্বর বন্দর কর্তৃপক্ষ বর্ধিত মাসুল বাস্তবায়ন সংক্রান্ত সার্কুলার জারি করে।
এতে বলা হয়, আগামী ১৫ অক্টোবর রাত থেকে বর্ধিত হারে মাসুল আদায় করা হবে। বর্ধিত হারে মাসুল আদায়ের মধ্যে গত ২০ অক্টোবর প্রজ্ঞাপন চ্যালেঞ্জ করে বাংলাদেশ মেরিটাইম ল সোসাইটি নামের একটি সংগঠনের পক্ষ থেকে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়। রিটে সার্কুলারের কার্যকারিতা স্থগিত চাওয়া হয়।
রবিবার এই রিটে প্রাথমিক শুনানির পর সার্কুলারের কার্যকারিতা স্থগিত করে রুলসহ আদেশ দেন উচ্চ আদালত। গত ১৪ সেপ্টেম্বরের প্রজ্ঞাপন এবং ৩০ সেপ্টেম্বরের সার্কুলার কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয় রুলে। চট্ট্রগাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এবং বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রধান অর্থ ও হিসাব কর্মকর্তাকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
পূর্বকোণ/পারভেজ