
চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে ধর্ষণচেষ্টা মামলার ভিকটিমের শ্বশুর হাসেম আলীকে (৫০) একটি মামলায় গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। বুধবার (৫ নভেম্বর) রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার (২৫ অক্টোবর) দুপুর ১২টার দিকে সন্দ্বীপ উপজেলার এক সৌদি প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা করে একই বাড়ির ভাড়াটিয়া মহিউদ্দিন। শাশুড়ি বাড়িতে না থাকায় সুযোগ বুঝে মহিউদ্দিন ঘরে ঢুকে ওই নারীকে জাপটে ধরে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। ভুক্তভোগী চিৎকার শুরু করলে মহিউদ্দিন দ্রুত পালিয়ে যায়। ঘটনার পরপরই ২৬ অক্টোবর ভুক্তভোগী মহিউদ্দিনের বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টা মামলা দায়ের করেন।
তবে গত ২৫ অক্টোবরের ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনা উল্লেখ করে ৪ নভেম্বর ভুক্তভোগী গৃহবধূ বাদী হয়ে তার শ্বশুরের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগে আদালতে একটি পাল্টা মামলা (সিআর নং-৫০৫/২৫) দায়ের করেন। ওই মামলায় আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করলে পুলিশ বুধবার রাতে ভিকটিমের শ্বশুরকে গ্রেপ্তার করে।
এদিকে শ্বশুরকে গ্রেপ্তারের খবর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়দের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। প্রবাসী শিপন — যিনি ধর্ষণচেষ্টা মামলার বাদীর স্বামী — ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়ে বিষয়টি জানালে নিন্দার ঝড় ওঠে।
অনেকেই তার পোস্টের মন্তব্যে লিখেছেন, ‘ধর্ষণচেষ্টার আসামি এলাকায় পার্টি দিচ্ছে, অথচ ভুক্তভোগী পরিবারের মানুষ জেলে — এটি ন্যায়ের পরিপন্থী।’
স্থানীয়দের অভিযোগ, মামলা হওয়ার পরও আসামি মহিউদ্দীন প্রকাশ্যে এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং ‘বিরিয়ানি পার্টি’র আয়োজন করেছে, যা ভুক্তভোগী পরিবারের জন্য অপমানজনক ও নিরাপত্তাহীনতার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তারা প্রশাসনের কাছে ন্যায়বিচার ও ধর্ষণচেষ্টা মামলার আসামি মঈউদ্দিনের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন।
সন্দ্বীপ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল আলম চৌধুরী বলেন, ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি হাসেমকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধর্ষণচেষ্টা মামলার আসামিকে ধরতে অভিযান চলমান রয়েছে।
পূর্বকোণ/পিআর