
কক্সবাজারের চকরিয়ার খুটাখালী এলাকায় চাঁদাবাজের অত্যাচারে অতিষ্ঠ লবণ চাষিরা থানায় এজাহার দিলেও রহসজনক কারণে পুলিশ মামলা নেয়নি। ফলে আদালতে নালিশী মামলা করলে আদালত অভিযোগ তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছেন।
বুধবার (২৯ অক্টোবর) খুটাখালী এলাকার লবণ চাষি দেলোয়ার হোছাইন বাদী হয়ে চকরিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এই নালিশী মামলা দায়ের করেন।
মামলায় বাদী পক্ষের আইনজীবী এডভোকেট সাইদুর রহমান সাঈদ বলেন, খুটাখালী নাইপেরঘোনা নামক লবণ মাঠে উৎপাদিত প্রতি মণ লবণ থেকে ২ টাকা করে জোরপূর্বক চাঁদা আদায় করে যাচ্ছে স্থানীয় কামাল মেম্বারের ছেলে রহিম উদ্দিন ও তার সাঙ্গ-পাঙ্গরা। এমন অভিযোগ নিয়ে খুটাখালী ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ ফুলছড়ি এলাকার নুর হকের ছেলে লবণ ব্যবসায়ী দেলোয়ার হোসেন বাদী হয়ে বুধবার দুপুরে চকরিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি ফৌজদারি দরখাস্তের আবেদন করলে, বিজ্ঞ আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কক্সবাজারের পুলিশ সুপারকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ প্রদান করেন।
মামলার বাদী ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সেচ্ছাসেবক দলের নেতা দেলোয়ার হোছাইন জানান, খুটাখালী নাইপের ঘোনা নামক লবণ মাঠের চাষীদের কাছ থেকে প্রতিমণ লবণ থেকে ২ টাকা হারে দীর্ঘদিন ধরে চাঁদাবাজি করছে স্থানীয় রহিম উদ্দিন নামকে এক চিহ্নিত চাঁদাবাজ।
তিনি আরও জানান, গত ১৭ অক্টোবর লবণ চাষীদের কাছ থেকে চাঁদাবাজির সময় স্থানীয় মুজিবুর রহমানসহ একদল লবণ চাষি প্রতিবাদ করলে রহিম উদ্দিনসহ সন্ত্রাসীরা লবণ চাষিদেরকে প্রাণে মারার হুমকি দেয়।
দেলোয়ার বলেন, চাঁদাবাজির প্রতিবাদে স্থানীয় লবণ চাষিরা ইতোমধ্যে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে। যা দেশের জাতীয়, আঞ্চলিক ও স্থানীয় প্রিন্ট মিডিয়া এবং বিভিন্ন ইলেকট্রনিকস মিডিয়াতে ফলাও করে প্রচার করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘চিহ্নিত চাঁদাবাজের বিরুদ্ধে এত প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও চকরিয়া থানায় মামলা না নেওয়ায় বাধ্য হয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি। ইনশাআল্লাহ আমরা আশাবাদী এবার খুটাখালী নাইপেরঘোনার ৬৬৪ কানি লবণ মাঠের চাষিরা ন্যায় বিচর পাবে।
পূর্বকোণ/আরআর/পারভেজ