
আশুলিয়ায় সংঘটিত সাম্প্রতিক সহিংস ঘটনায় ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী গুরুতরভাবে আহত হয়ে বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে, এই হামলার সূত্রপাত এবং পরিকল্পিত আক্রমণের মূল উদ্যোক্তা ছিলেন সিটি ইউনিভার্সিটির কিছু শিক্ষার্থী।
আজ সোমবার পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ অভিযোগ করে জানান, তাদের শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে রেখে স্বীকারোক্তি আদায় করা হয়েছে—যা কোনোভাবেই একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আচরণের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। প্রাপ্ত ভিডিও ফুটেজ, সাক্ষ্য ও প্রত্যক্ষদর্শীর বিবরণ অনুযায়ী, হামলাটি ছিল পূর্বপরিকল্পিত ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
বিবৃতিতে বলা হয়, “আমাদের শিক্ষার্থীদের যেভাবে জিম্মি করে রেখে নারকীয় কায়দায় নির্যাতন ও জোরপূর্বক স্বীকারোক্তি আদায় করা হয়েছে, তা কোনো সভ্য রাষ্ট্র বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গ্রহণযোগ্য নয়। এই আচরণ গভীরভাবে উদ্বেগজনক ও প্রশ্নবিদ্ধ।”
কর্তৃপক্ষ আরও জানায়, ঘটনার শুরুতে একটি তুচ্ছ বিষয়—থুতু পড়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে—উত্তেজনা ছড়ালেও পরবর্তীতে সেটিকে বড় করে পরিকল্পিতভাবে সংঘর্ষে রূপ দেওয়া হয়েছে। “ঘুমন্ত, নিরীহ শিক্ষার্থীদের ওপর সশস্ত্র আক্রমণ চালানো হয়েছে,” উল্লেখ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানিয়েছে, “এই ঘটনায় কারা প্রত্যক্ষভাবে হামলায় অংশ নিয়েছে এবং কারা প্ররোচনা দিয়েছে—তা দ্রুত শনাক্ত করা প্রয়োজন।”
ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ ঘটনার পূর্ণাঙ্গ ও নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করে বলেছে, “আমাদের কাছে ভিডিও, প্রত্যক্ষদর্শীর বিবরণ ও অন্যান্য প্রমাণ রয়েছে। সেগুলো যাচাই করে ঘটনার প্রকৃত দোষীদের চিহ্নিত করতে হবে।”
তারা আরও আহ্বান জানিয়েছে, “এই নৃশংস ঘটনার সঙ্গে জড়িত সব ব্যক্তি ও পরিকল্পনাকারীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে আর কোনো শিক্ষার্থী এমন নির্যাতনের শিকার না হয়।”