চট্টগ্রাম সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫

সর্বশেষ:

গোলাম আকবর খোন্দকারকে হত্যাচেষ্টায় বিএনপি নেতা জুয়েল গ্রেপ্তার

গোলাম আকবর খোন্দকারকে হত্যাচেষ্টায় বিএনপি নেতা জুয়েল গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক

১৯ অক্টোবর, ২০২৫ | ৯:৪৫ অপরাহ্ণ

রাউজানে সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপি নেতা গোলাম আকবর খোন্দকারের ওপর প্রাণঘাতী হামলার মামলায় বিএনপি নেতা নূর উদ্দিন চৌধুরী জুয়েল ওরফে জুয়েলকে (৪৪) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রবিবার তাকে কোটে প্রেরণ করে রিমান্ড চেয়েছে পুলিশ।

রাউজান গহিরা কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি গ্রেপ্তার নূর উদ্দিন চৌধুরী জুয়েল রাউজান পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের গহিরা এলাকার বক্স এলাহী চৌধুরী বাড়ির মৃত মুছা প্রকাশ ইছা চৌধুরীর পুত্র। তিনি বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান (পদস্থগিত) গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর অনুসারী হিসেবে পরিচিত।

রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া জানান, “চেক প্রতারণা সংক্রান্ত এনআই অ্যাক্ট মামলার ওয়ারেন্টের ভিত্তিতে চট্টগ্রাম নগর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে পরবর্তীতে ২০১৫ সালের ২৯ জুলাই রাউজানে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে গোলাম আকবর খোন্দকারের ওপর হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় জুয়েলকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।”

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২৯ জুলাই বিকেল সাড়ে চারটার দিকে গোলাম আকবর খোন্দকার মরহুম মহিউদ্দীন আহমদের কবর জিয়ারতের উদ্দেশ্যে নেতাকর্মীদের নিয়ে চট্টগ্রাম শহর থেকে রওনা হন। সত্তারঘাট ব্রিজ পার হয়ে উত্তর-পূর্ব পার্শ্বের হাইওয়ে সড়কে পৌঁছালে আসামি জুয়েলসহ অন্যান্য আসামিরা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় এবং আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে ফাঁকা গুলি ছোঁড়ে।

এ সময় গোলাম আকবর খোন্দকারের গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালানো হলে তিনি গুলিবিদ্ধ হন। উপস্থিত নেতাকর্মীরা মানবঢাল হয়ে রক্ষা করার চেষ্টা করলে হামলাকারীরা রামদা, কিরিচ, লোহার রড, জিআই পাইপসহ বিভিন্ন অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায়। এতে গোলাম আকবর খোন্দকারসহ কয়েকজন আহত হন। হামলার সময় বাদীর কাছ থেকে দুটি মোবাইল ফোন ও নগদ ৪৯ হাজার ৭০০ টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগও রয়েছে।

রক্তাক্ত অবস্থায় আহতদের উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দীর্ঘ তদন্ত শেষে গত ১৮ অক্টোবর (শনিবার) রাতে এসআই (নিঃ) মো. আব্দুর রশিদ সিএমপি ডিবি ও এলআইসি শাখার সহায়তায় চট্টগ্রাম নগর এলাকা থেকে জুয়েলকে গ্রেপ্তার করেন। এরপর রবিবার (১৯ অক্টোবর) তাকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামির বিরুদ্ধে ঘটনার সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তদন্তকারী কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সহযোগী ও অজ্ঞাতনামা আসামিদের শনাক্তকরণ এবং হামলায় ব্যবহৃত অস্ত্র ও বিস্ফোরক উদ্ধারের লক্ষ্যে জুয়েলকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন করা হয়েছে।

অন্যদিকে পরিবারের দাবি, শুক্রবার সকালে ডিবি অফিসের পরিচয় দিয়ে পুলিশের পোশাক পরিহিত কয়েকজন ব্যক্তি চট্টগ্রাম নগরীর একটি স্থান থেকে জুয়েল চৌধুরীকে তুলে নিয়ে যায়। এরপর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন বলে জানান তার স্ত্রী ফিরোজা চৌধুরী।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত আসামি নূর উদ্দিন চৌধুরী জুয়েল ওরফে কালা জুয়েলকে জেলহাজতে রাখার আবেদন করা হয়েছে।
একইসাথে তার রিমান্ড চেয়েছে পুলিশ।

 

পূর্বকোণ/আরআর/পারভেজ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট