চট্টগ্রাম শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫

নারী বিশ্বকাপ: বাজে ফিল্ডিংয়ে আরও একটি হার বাংলাদেশের

নারী বিশ্বকাপ: বাজে ফিল্ডিংয়ে আরও একটি হার বাংলাদেশের

অনলাইন ডেস্ক

১৩ অক্টোবর, ২০২৫ | ১১:৪৫ অপরাহ্ণ

নারী বিশ্বকাপে আবারও জয়ের সম্ভাবনা জাগিয়েও হার নিয়ে মাঠ ছেড়েছে বাংলাদেশ। থ্রিলারে পরিণত হওয়া ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হেরেছে ৩ উইকেটে। 

 

শেষ দিকে জমে ওঠা ম্যাচে বাংলাদেশ বাজে ফিল্ডিংয়ের মাশুল দিয়েছে। সুযোগগুলো কাজে লাগাতে পারলে ভিন্ন কিছু হলেও হতে পারতো। ৪৮.৫ ওভারেই যেমন নাদিন ডি ক্লার্কের ক্যাচ মিস করেন স্বর্ণা। তখনও জয়ের জন্য প্রয়োজন ৯ রান। সেই ক্যাচ মিস করার পর নাদিন দি ক্লার্কই স্নায়ু ধরে রেখে এক চার ও এক ছক্কায় ৩ বল হাতে রেখে নিশ্চিত করেন জয়।

  

২৩৩ রানের লক্ষ্য ছুড়ে দিয়ে প্রোটিয়াদের ৭৮ রানে ৫ উইকেট তুলে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছিল বাংলাদেশ। সেখান থেকেই পরে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ম্যাচে ফেরান মারিজান ক্যাপ (৫৬) ও ক্লোয়ে ট্রাইওন (৬২)। ক্যাপকে ফিরিয়ে ৮৫ রানের এই জুটি ভাঙেন নাহিদা। তার পরও ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ হাতছাড়া হতে দেননি ট্রাইওন- নাদিন ডি ক্লার্ক। অবশ্য এসময় বাংলাদেশের ক্যাচ মিসও তাদের সহায়তা করেছে। নাদিন ডি ক্লার্ক এসময় ট্রাইওনের সঙ্গে ৩৫ রান ও মাসাবাতা ক্লাসের সঙ্গে ৩৭ রানের অপরাজিত দুটি জুটি গড়ে বাংলাদেশের হৃদয় ভেঙেছেন। ক্লার্ক ২৯ বলে ৪টি চার ও ১ ছক্কায় ৩৭ রানে অপরাজিত থাকেন। 

বাংলাদেশের হয়ে ৪৪ রানে দুটি উইকেট নেন নাহিদা আক্তার। একটি করে নেন রাবেয়া খান, ফাহিমা খাতুন ও রিতু মনি।আগের দুই ম্যাচে ব্যাটিং ব্যর্থতা ছিল বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় দুশ্চিন্তার কারণ। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে অবশ্য এদিন নতুন রূপেই দেখা গেছে তাদের। 

বাংলাদেশের নারী ক্রিকেটে পাওয়ার-হিটিংয়ের এক নতুন যুগের সূচনা করেছেন স্বর্ণা আক্তার। যা পূর্বের রক্ষণাত্মক ব্যাটিং ধাঁচ থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন। তার এই ঝড়ো ইনিংস-ই দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বিশাখাপত্তনমে অনুষ্ঠিত গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে বাংলাদেশকে লড়াইয়ে টিকে থাকার সুযোগ করে দেয়। ৪০.১ ওভারে ১৫০ রানে ৩ উইকেটে থাকা অবস্থায় ক্রিজে নামেন স্বর্ণা। এরপর তিনি ৩৫ বলে অপরাজিত ৫১ রান করেন। তাতে  ছিল তিনটি চার ও তিনটি ছয়। তার এই ইনিংসে ভর করেই বাংলাদেশ ২৩৩ রানের লক্ষ্য দিতে পারে। 

 

শারমিন আক্তার (৫১) এবং অলরাউন্ডার স্বর্ণা আক্তারের (৫১*)  হাফসেঞ্চুরিতে ৬ উইকেটে বাংলাদেশ ২৩২ রানে পৌঁছে। চতুর্থ ম্যাচে দুই হাফসেঞ্চুরিই ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন ধাঁচের। শারমিন ৭৭ বলে ৬ চারে ৫০ রান করে ইনিংসের ভিত গড়ে দেন। আর স্বর্ণা ৩৫ বলে ৫১ রানের ঝড় তুলে বাংলাদেশের ইতিহাসে দ্রুততম হাফ-সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েন। তাতে ইনিংসের শেষ দিকে বাংলাদেশের রান বাড়তে থাকে দ্রুত। 

 

ব্যাটিং-সহায়ক উইকেটে বাংলাদেশের টপ অর্ডারের ব্যাটাররা সবাই রান পেয়েছেন।  ফারজানা হক (৩০), রুবাইয়া হায়দার (২৫) ও শারমিন (৫০) শুরুর ভিত গড়ে দেন। এরপর অধিনায়ক নিগার (৩২) ক্রিজে এসে স্বর্ণার সঙ্গে জুটি গড়ে ইনিংসের গতি বাড়ান। স্বর্না তার ইনিংসে তিনটি ছয় ও তিনটি চার মারেন। শেষ দিকে রিতু মনি মাত্র ৮ বলে ১৯* রানের ক্যামিও ইনিংসে দলকে সমৃদ্ধ জায়গায় পৌঁছে দেন। রিতু-স্বর্ণার অবিচ্ছিন্ন জুটি শেষ দিকে ১৮ বলে তুলেছে ৩৭ রান। আর শেষ ১০ ওভারে বাংলাদেশ তোলে ৮২ রান। প্রোটিয়াদের হয়ে ৪২ রানে দুটি উইকেট নেন মালবা। 

 

পূর্বকোণ/আরআর/পারভেজ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট