চট্টগ্রাম শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫

সর্বশেষ:

স্বামীর বন্ধুর সাথে প্রেম, স্বামীকে বালিশ চেপে হত্যার পর খালে ফেললেন স্ত্রী

স্বামীর বন্ধুর সাথে প্রেম, স্বামীকে বালিশ চেপে হত্যার পর খালে ফেললেন স্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক

১২ অক্টোবর, ২০২৫ | ৭:২৯ অপরাহ্ণ

স্বামীর বন্ধুর সাথে পরকিয়ায় বাধা দেয়ার কারণে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে স্বামীকে বালিশ চেপে হত্যার পর লাশ খালে ফেলে দিয়েছেন স্ত্রী। পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) দেওয়া জবানবন্দিতে এমন তথ্য দিয়েছেন কহিনুর আক্তার (২৭)। তিনি রাঙ্গামাটি জেলার চন্দ্রঘোনা থানার পশ্চিম কোদালা গ্রামের কৃষক দিদার আলমের (২৮)  স্ত্রী। বিষয়টি পূর্বকোণকে নিশ্চিত করেন মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআইয়ের পুলিশ পরিদর্শক  মো. রুহুল আমিন। 
স্বীকারোক্তিতে কহিনুর জানান, গত ৩০ জুন রাতে স্বামীকে গরুর দুধে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে খাওয়ানোর পর গভীর রাতে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। হত্যার পর কহিনুর আক্তার মাথায় ছাতা ও হাতে টর্চলাইট নিয়ে প্রতিবেশী মো. হামজা ওরফে হানজালার কাছে গিয়ে বিষয়টি জানালে হানজালা ও সেলিম নামের আরও একজন সহযোগী ভিকটিম দিদার আলমের বাসায় আসেন। এসে দুজনে মিলে দিদারের মৃতদেহ প্লাস্টিক মুড়িয়ে পার্শ্ববর্তী কোদালা খালে লাশ ফেলে দেয়। ঐদিন অঝোর ধারায় বৃষ্টি হওয়ায় খালের পানির প্রচন্ড স্রোতে লাশ ভেসে যায়। এখনও সেই লাশ উদ্ধার করা যায়নি।
 
এর আগে গত ৩১ জুন সকাল থেকে ভিকটিম দিদার আলমের কোনো সন্ধান না পাওয়ায় তার পিতা জামির হোসেন (৬০) দুই দিন পর ২ জুলাই চন্দ্রঘোনা থানায় জিডি করেন। পরবর্তীতে তিনি বাদী হয়ে আসামি কহিনুর আক্তার (২৭) ও আব্দুল খালেকসহ (৩০) অজ্ঞাতনামা কয়েকজনের বিরুদ্ধে  আদালতে অপহরণ মামলা দায়ের করেন। আদালত উক্ত মামলাটি এজাহার হিসাবে নেয়ার জন্য চন্দ্রঘোনা থানার ওসিকে আদেশ প্রদান করেন। পরে চন্দ্রঘোনা থানায় ২৭ জুলাই মামলাটি রুজু হলে থানা পুলিশের তদন্তাধীন অবস্থায় বাদীর আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত তদন্তভার পিবিআই, চট্টগ্রাম জেলাকে হস্তান্তরের আদেশ দেন।
উল্লেখ্য, গত ০৪ অক্টোবর  এজাহারনামীয় আসামি আব্দুল খালেক (৩০) ও কহিনুর আক্তার (২৭)কে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ডের আবেদন করলে আদালত ০৩ দিনের পুলিশ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
পূর্বকোণ/রাজীব/পারভেজ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট