চট্টগ্রাম শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫

সর্বশেষ:

লেকর্নুকে আবারও প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ দিয়ে ঝুঁকি নিলেন ম্যাখোঁ
ফাইল ছবি

লেকর্নুকে আবারও প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ দিয়ে ঝুঁকি নিলেন ম্যাখোঁ

মুহাম্মদ মোরশেদ আলম

১২ অক্টোবর, ২০২৫ | ১১:৪৫ পূর্বাহ্ণ

ফ্রান্সের চলমান গভীর রাজনৈতিক সংকট উত্তরণে পদত্যাগী প্রধানমন্ত্রী সেবাস্তিয়ান লেকর্নুকে আবারও বেছে নিলেন প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ। পদত্যাগের চারদিন পরই লোকর্নুকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন তিনি। ১০ অক্টোবর প্রেসিডেন্ট ভবন এলিসি প্রাসাদের বিবৃতিতে বলা হয়, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট সেবাস্তিয়ান লেকর্নুকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মনোনীত করেছেন এবং তাঁকে মন্ত্রিসভা গঠনের দায়িত্ব দিয়েছেন। এলিসি প্রাসাদের ঘোষণার পর লেকর্নু এক্স–এ লেখেন, ‘রাষ্ট্রপতি যে দায়িত্ব আমার ওপর অর্পণ করেছেন, তা আমি কর্তব্যবোধ থেকে গ্রহণ করছি। বছরের শেষ নাগাদ ফ্রান্সের জন্য একটি বাজেট পাস করা এবং নাগরিকদের দৈনন্দিন সমস্যার সমাধানে আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।’

 

গত দুই বছরর সেবাস্তিয়ান লেকর্নুর আগে পর পর ৪ জন পদত্যাগ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে। পঞ্চম পদত্যাগকারী হিসাবে নাম জুড়েছিল সেবাস্তিয়ানের। তবে ম্যাখোঁর ‘অনুগত’ হিসাবে পরিচিত তিনি পুনরায় ওই পদেই নিযুক্ত হলেন।

 

লেকর্নুর প্রত্যাবর্তন অনেকের কাছে বিস্ময়কর। কারণ মাত্র দুই দিন আগেই তিনি জাতীয় টেলিভিশনে বলেছিলেন, ‘আমি এই পদটির পেছনে ছুটছি না, আমার দায়িত্ব শেষ।’

 

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, লেকর্নুকে পুনর্নিয়োগের মাধ্যমে ম্যাখোঁ এমন এক ঝুঁকি নিয়েছেন, যা তার রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের ক্ষুব্ধ করতে পারে। তারা মনে করছেন, ফ্রান্সের সাম্প্রতিক ইতিহাসের সবচেয়ে গভীর রাজনৈতিক সংকট থেকে উত্তরণের উপায় হতে পারে হয় পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়া, নয়তো প্রেসিডেন্টের নিজ পদত্যাগ।

 

আল জাজিরার প্যারিস প্রতিবেদক নাতশা বাটলার বলেন, ‘ফরাসি রাজনীতিতে গত কয়েক দিন এতটাই অস্থির ছিল যে কেউই অনুমান করতে পারছিল না কী হতে যাচ্ছে। এই নিয়োগই প্রমাণ করে, এটি ছিল নাটকীয় এক সপ্তাহের সর্বশেষ মোড়।’

 

লেকর্নুকে প্রধানমন্ত্রী ঘোষণার পূর্বে ম্যাখোঁ চরম দক্ষিণপন্থী ন্যাশনাল র‍্যালি (আরএন) ও বামপন্থী ফ্রান্স আনবাউড বাদে অন্যান্য দলের নেতাদের সঙ্গে এলিসি প্রাসাদে বৈঠক করেন। বৈঠকের আগে প্রেসিডেন্টের দপ্তর এক বিবৃতিতে সব রাজনৈতিক দলকে ‘সমষ্টিগত দায়িত্বের মুহূর্ত’ হিসেবে বিষয়টি স্বীকার করতে আহ্বান জানায়। এতে ইঙ্গিত দেওয়া হয়, যদি ম্যাখোঁর পছন্দের প্রার্থীকে সমর্থন না দেওয়া হয়, তবে তিনি পার্লামেন্ট ভেঙে দিতে পারেন। নাতাশা বাটলার বলেন, লেকর্নুর পুনর্নিয়োগ দেখাচ্ছে যে ‘ম্যাক্রোঁর হাতে এখন বিকল্প ফুরিয়ে গেছে’।

 

বর্তমানে বেশ কয়েকটি দল আগাম জাতীয় নির্বাচনের দাবি তুলেছে। এমনকি কিছু দল প্রেসিডেন্ট ম্যাখোঁর পদত্যাগও দাবি করছে। তবে প্রেসিডেন্ট বারবার বলেছেন, তিনি ২০২৭ সালে মেয়াদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত পদে থাকবেন। বাজার ব্যবস্থার সংস্কার, সংসদ নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন হারানো, অভিবাসন আইন নিয়ে সমালোচনার মুখে রয়েছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট।

 

২৭ দিন দায়িত্বে থাকার পর ৬ অক্টোবর ৩৯ বছর বয়সী লেকর্নুর পদত্যাগপত্র গৃহীত হলে দেশটিতে গভীর রাজনৈতিক সংকটের সৃষ্টি হয়। গত কয়েক দিন ধরে প্রেসিডেন্ট ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মধ্যে সমঝোতা আলোচনা চলছিল সমাধান খুঁজে বের করতে। মাখোঁর মিত্র ও বিরোধী—উভয় পক্ষই আশা করেছিল, কৃচ্ছ্রসাধনমূলক বাজেট নিয়ে চলা কয়েক মাসের অচলাবস্থা কাটাতে সরকারে নতুন কোনো মুখ আসবে। কিন্তু ঘুরেফিরে ৩৯ বছর বয়সী লেকর্নুকের ওপরই আস্থা রাখলেন ম্যাঁখো। ২০১৭ সালে প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকে সবচেয়ে বড় অভ্যন্তরীণ সংকটে পড়া ম্যাখোঁ নতুন করে লেকর্নুকে প্রধানমন্ত্রী করা কোনো মন্তব্য করেননি। তবে বিষয়টি নিয়ে সমালোচনার ঝড় বইছে। দেশটির অধিকাংশ রাজনৈতিক দলই লেকর্নুর পুনর্নিয়োগের কড়া সমালোচনা করেছে। চরম দক্ষিণপন্থী ন্যাশনাল র‍্যালি (আরএন) দল ঘোষণা করেছে, তারা অবিলম্বে লেকর্নু নেতৃত্বাধীন নতুন সরকারকে ‘আস্থা ভোটের মাধ্যমে’ নামানোর উদ্যোগ নেবে। দলটির নেতা জর্ডান বারডেলা বলেছেন, ‘একজন বিচ্ছিন্ন ও বাস্তবতা থেকে সংযোগহীন ম্যাখোঁর এই সিদ্ধান্ত একেবারে ‘খারাপ রসিকতা’। আমরা এই সরকারের বিরুদ্ধে অবিলম্বে অনাস্থা প্রস্তাব আনব, কারণ এর কোনো ভবিষ্যৎ নেই।’

 

সংসদের মধ্যমপন্থী দল সোশ্যালিস্ট পার্টি বলেছে, তাদের সঙ্গে লেকর্নুর কোনো সমঝোতা হয়নি। খরচ কমানোর পদক্ষেপ নিয়ে অচলাবস্থার কারণে ফরাসি সংসদ ইতিমধ্যেই লেকর্নুর দুই পূর্বসূরিকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দিয়েছে।

 

ফরাসি সমাজতান্ত্রিক পার্টির সদস্য ফ্রাঁসোয়া কালফোঁ বলেন, ‘আমাদের সংশয় প্রতিদিনই বাড়ছে। আমরা পেনশন সংস্কারের বিষয়ে স্পষ্ট পদক্ষেপ চাই। প্রয়োজনে আবারও নির্বাচনে যেতে আমরা ভয় পাই না।’

 

বামপন্থী ফ্রান্স আনবাউড দলের সংসদীয় নেতা ম্যাথিল্ড পানো বলেন, ‘কোনো প্রেসিডেন্ট কখনও এতটা ঘৃণা ও বিরক্তি নিয়ে শাসন করতে চাননি। যিনি সোমবার পদত্যাগ করেছেন, তাকে শুক্রবারই পুনর্নিয়োগ করা হয়েছে। ম্যাখোঁ কেবল নিজের পতন কিছুটা পিছিয়ে দিচ্ছেন।’

 

তবে জাতীয় পরিষদের স্পিকার ইয়েল ব্রাউন-পিভে তুলনামূলক ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেন, ‘সেবাস্তিয়ান লেকর্নুর পুনর্নিয়োগ আমি লক্ষ্য করেছি। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে জাতীয় পরিষদ কাজের জন্য প্রস্তুত—বিতর্ক, পর্যালোচনা ও ভোটের জন্য। এখন কাজ শুরু করার সময়। অনেক দেরি হয়ে গেছে।’
ফ্রান্সের রাজনৈতিক অচলাবস্থা বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উদ্বেগ তৈরি করেছে এবং ফ্রান্সের বিশাল ঘাটতি নিয়ে চিন্তিত তারা কঠোর ব্যয়সংকোচন বাজেটের দাবি জানাচ্ছে, যা পাস করাটাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ। পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার পর লেকর্নু এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে বলেন, পদত্যাগের পর ম্যাখোঁর অনুরোধে তিনি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। তাতে তিনি জানতে পারেন, অধিকাংশ আইনপ্রণেতা আগাম সংসদ নির্বাচনের বিপক্ষে এবং বছরের শেষ নাগাদ বাজেট পাস করার একটি কঠিন হলেও সম্ভাব্য পথ রয়েছে।

 

এদিকে লেকর্নুর আকস্মিক পদত্যাগের পর প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁকে পদত্যাগের আহ্বান জানান সাবেক প্রধানমন্ত্রী এডওয়ার্ড ফিলিপ। তার এই আকস্মিক আহ্বান ক্রমবর্ধমান সংকটকে আরো জটিল করে তুলেছে। ফিলিপ ফরাসি প্রেসিডেন্টের প্রথম প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। ২০১৭ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ম্যাক্রোঁর সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী প্রধানমন্ত্রী এবং বর্তমানে একটি মিত্র রাজনৈতিক দলের প্রধান এডোয়ার্ড ফিলিপের হস্তক্ষেপ এমন সময় এলো যখন তার আট বছরের ক্ষমতার মধ্যে সবচেয়ে বড় ‘ঘরোয়া রাজনৈতিক সংকট’ নিয়ে প্রেসিডেস্টের নিজস্ব শিবিরেও হতাশা বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে করে কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন ইমানুয়েল ম্যাখোঁ।

 

বিশ্লেষকদের মতে, বর্তমান পরিস্থিতি আবারও ফ্রান্সের নেতৃত্বের দুর্বলতা এবং শাসন কাঠামোর ভঙ্গুরতা তুলে ধরেছে। পাশাপাশি, ফ্রান্সের দেশীয় রাজনীতির এই টানাপড়েন রাজনৈতিক অচলাবস্থার মুখে আরও ঠেলে দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নকে। ফ্রান্সের এই অস্থিতিশীলতা ইউরোপজুড়ে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। জার্মান সরকারের এক মুখপাত্র বলেন, ‘একটি স্থিতিশীল ফ্রান্স ইউরোপের স্থিতিশীলতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।’

 

২০২৪ সালের জুলাই থেকে ফরাসি রাজনীতি ক্রমাগত অস্থিতিশীল হয়ে আছে। এ সময়ে আকস্মিক সংসদীয় নির্বাচনে ঝুলন্ত সংসদ গঠিত হয়। ফলে কোনো প্রধানমন্ত্রীই সংসদে পর্যাপ্ত সমর্থন পেতে পারেননি, যা আইন পাসের পথে বড় বাধা হয়ে দাঁড়ায়। এর ফলে যেকোনো প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে বিল এবং বার্ষিক বাজেট পাসের জন্য প্রয়োজনীয় সমর্থন জোগাড় করা কঠিন হয়ে পড়ছে। এই রাজনৈতিক সংকট আর্থিক বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি করেছে।

 

সম্প্রতি জাতীয় বাজেট কাটছাঁট নিয়ে সরকারে প্রতি ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে ফ্রান্সের জনগণ ও বিরোধী দলগুলো। ঋণের দেনায় জর্জরিত ফ্রান্সের সরকারে স্বস্তি দিতে গত সেপ্টেম্বরের প্রথম দিকে কল্যাণমূলক ও জনস্বার্থ সম্পর্কিত বিভিন্ন খাত থেকে সরকারি বরাদ্দের অর্থ কাটছাঁট করার একটি প্রস্তাব পাস করে ফ্রান্সের মন্ত্রিসভা; পাস হওয়া সেই প্রস্তাব অনুযায়ী, বাজেট সংস্কারের অংশ হিসেবে বিভিন্ন খাত থেকে রাষ্ট্রীয় বরাদ্দের মোট ৪ হাজার ৪০০ কোটি ডলার ছেঁটে ফেলা হয়।

 

এতে ব্যাপক ক্ষুব্ধ হন ফ্রান্সের সাধারণ জনগণ। জনগণের ক্ষোভকে আমলে নিয়ে পার্লামেন্টে লেকোর্নোর পূর্বসূরি প্রধানমন্ত্রী ফাঙ্কোইস বায়রোকে আস্থাভোটের চ্যালেঞ্জ জানান বিরোধীদলীয় এমপিরা। সেই ভোটে হেরে গিয়ে ৮ সেপ্টেম্বর বিদায় নেন বায়রো। এতে বেয়ারুর বিপক্ষে পড়ে ৩৬৪ ভোট, আর সমর্থনে ছিলেন মাত্র ১৯৪ জন সাংসদ। ভোট থেকে বিরত ছিলেন আরও ২৫ জন। তার বিদায়ের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে লেকর্নোকে নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেন ম্যাখোঁ। কিন্তু লেকর্নো আসার পরও পরিস্থিতির কোনো উন্নতি হয়নি। ফ্রান্সের কট্টর বামপন্থি রাজনৈতিক দল ও ট্রেড ইউনিয়নগুলো একের পর এক কর্মসূচি ঘোষণা করে যাচ্ছিল। ফলে দায়িত্ব গ্রহণের ২৭ দিনের এবং মন্ত্রিসভা গঠনের ১৪ ঘণ্টার মাথায় প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ান লেকোর্নো।

 

গত দুই বছরে পাঁচজন প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন। যার সাম্প্রতিক উদাহরণ লেকর্নু। ১৪ ঘণ্টা আগে তিনি নিজের নতুন মন্ত্রিসভা তৈরি করেছিলেন। কিন্তু তা নিয়ে বিরোধীদের প্রবল বিক্ষোভের জেরে তিনি পদত্যাগ করেন।

 

সংকটের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হলো ম্যাখোঁর ২০২৩ সালের পেনশন সংস্কার, যার ফলে অবসরের বয়স ধীরে ধীরে ৬২ থেকে ৬৪ বছরে উন্নীত হচ্ছে। বামপন্থিরা এ আইন বাতিল বা স্থগিতের দাবি জানিয়েছে।

 

২০২৪ সালে ফ্রান্সের বাজেট ঘাটতি ছিল জিডিপির ৫.৮ ভাগ। আর জাতীয় ঋণ দাঁড়িয়েছে জিডিপির ১১৪ ভাগ, যা ইউরোজোনে গ্রিস ও ইতালির পর তৃতীয় সর্বোচ্চ। অর্থাৎ প্রতিটি ফরাসি নাগরিকের ওপর গড়ে প্রায় ৫০ হাজার ইউরো ঋণের বোঝা পড়েছে।

 

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, প্রেসিডেন্ট এবং রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে কয়েকদিনের আলোচনার পর লেকর্নুর পুনর্বাসন অনেকটা বাধ্য হয়ে নেওয়া সিদ্ধান্ত, যা রাজনৈতিক অচলাবস্থা থেকে উত্তরণের একটি চেষ্টা হলেও অনেকেই এটিকে অনাকাঙ্ক্ষিত মনে করছেন। এখনও নিশ্চিত নয় যে, তিনি একটি পূর্ণাঙ্গ সরকার গঠন করতে পারবেন কি না।

 

ডানপন্থী রাজনীতিবিদরাও এখন লেকর্নুর সরকারে যোগ দিতে আগ্রহী নন, ফলে তার সামনে মন্ত্রিসভা গঠনের বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়েছে। তবে তার ওপর চাপ বাড়ছে—১৩ অক্টোবর সোমবারের মধ্যে তাকে ফরাসি পার্লামেন্টে আগামী বছরের বাজেট উপস্থাপন করতে হবে। আর যদি সেবাস্তিয়ান লেকর্নু যদি সরকার গঠন করতে ব্যর্থ হন তবে ফ্রান্সের রাজনৈতিক সংকট আরও গভীর খাদে নিপতিত হবে।

 

লেখক : যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী সাংবাদিক

 

পূর্বকোণ/ইবনুর

শেয়ার করুন